শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হবে সবুজ মেরুন এবং লাল হলুদ। আর কলকাতার ডার্বি ঘিরে স্বভাবতই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। টিকিট বিক্রি চলছে এবং দুই দলই শেষ ম্যাচ জিতে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের গত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে হারিয়েছে মুম্বাই সিটি এফসিকে এবং এটিকে-মোহনবাগান ২-১ গোলে হারিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্সকে। এখনও অবধি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানকে একবারও হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে এটিকে-মোহনবাগানের জয়ের সংখ্যাই বেশী। আইএসএলে এই মরশুমের প্রথম ডার্বিতেও জয় পায় সবুজ মেরুন, ব্যাবধান ছিল ২-০।
এই ফিরতি ডার্বিতে জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে দুই দলই। তবে ধারে ও ভারে এগিয়ে এটিকে-মোহনবাগান। লীগ টেবিলের অঙ্ক অনুযায়ী, টানা অষ্টমবার যদি এটিকে-মোহনবাগান ডার্বি জিততে পারে তাহলে, তাহলে লিগ তালিকার তিন নম্বরে উঠে আসবে তাঁরা। তারফলে ঘরের মাঠেই প্লে-অফ খেলতে পারবে মোহনবাগান। দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোস জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল।লীগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে। ফলে ওদের ছোটো করে দেখছি না। ওদের উইং-প্লে এবং আক্রমণভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে আমি নিজের খেলায় মন দিতে চাই এবং আমরাই জিতব।
সবুজ মেরুন ডিফেন্ডার শুভাশিস বসু বলছেন, কেরল ম্যাচেই দল প্রমাণ করেছে চাপের মুখে কীভাবে নিজেদের মেলে ধরতে হয়। তাই আমাদের কোনো চাপ নেই। টানা সাতটা ডার্বি জিতেছি, এটাও জিতে প্লে-অফ খেলতে চাই। স্লাভকো ডোমানোভিচ আবার লাল হলুদ স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভার প্রশংসা করেছেন। তবে এও জানিয়েছেন, এর আগে দুবার ক্লেইটনের বিরুদ্ধে খেলেছি এবং ও আমাকে হারাতে পারেনি। আর এবারেও আমি জয়ের জন্যই মাঠে নামব। ব্র্যান্ডন হ্যামিলের জায়গায় কোচ হয়ত আমাকে ভাববেন, কারণ বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলে ও ক্লান্ত । ফলে আমি সেরাটাই দিতে প্রস্তুত। অর্থাৎ, সবুজ মেরুন ফুটবলারদের গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর এবং তারা জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত।
অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ কনস্ট্যানটাইনও জানিয়েছেন, তারা এই ম্যাচ জয়ের জন্যই খেলতে নামবেন। ঐতিহ্যের ডার্বি, তাই লালহলুদ ফুটবলাররা তাদের সেরাটাই দেবে।
ইস্টবেঙ্গলের ক্লেইটন ছাড়াও, জার্ভিস, নাওরেম মহেশ, মোবাসির নজর কাড়তে পারেন ডার্বিতে। অন্যদিকে সবুজ মেরুনের হয়ে দিমিত্রি ছাড়াও আশিক কুরনিয়ান, হুগো বুমোস, কার্ল ম্যাঘাউ এবং ডোমানোভিচ নজর কাড়তে পারেন। মাঝমাঠ এবং উইং-প্লে, দুই বিভাগই যথেষ্ট শক্তিশালী এটিকে-মোহনবাগানের। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। তাই লালহলুদের উইং-প্লে আটকে গেলে গোল পাওয়া মুশকিল।
এটিকে-মোহনবাগানের খেলা মূলত মাঝমাঠ নির্ভর। মোহনবাগান চাইবে শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল নিতে। সেটা আটকাতে না পারলে ইস্টবেঙ্গলের জয় পাওয়া কঠিন।
অন্যদিকে ডার্বির জন্য আইএফএ-কে ইমামির তরফ থেকে অনেক কম টিকিট পাঠানো হয়েছিল। ফলে আইএফএ’র তরফে সব টিকিট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়েও পারদ চড়েছে ময়দানে।
Comments :0