India Book of Records

মজার ছলে ভিডিও বানিয়ে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’

রাজ্য

‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে’র পুরস্কার হাতে চৈতালি গড়াই।

১ মিনিটে পায়ের বুড়ো আঙুল ফোটাতে পেরেছেন ১১৬ বার! আর তাতেই জায়গা হয়েছে 'ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড'-এ। এমনই এক অভিনব কান্ড ঘটিয়ে আজ সকলের নজরে চৈতালি গড়াই। বীরভূমের বাসিন্দা। বর্তমানে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনারত পড়ুয়া। ছোট থেকেই এই তাঁর এই অভিনব বিষয়টি নজর কেড়েছিল সহপাঠী থেকে শুরু করে পরিজনদের। তবে চৈতালী জানায়, সে কখনও ভাবেনি এটা জন্য কোন রেকর্ড হতে পারে।‘ মজার ছলে ভিডিও করে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে’র সাইটে পাঠিয়ে দেয় সে। তাতেই কিস্তিমাত হয়েছে। চৈতালীর হাতে উঠেছে- স্মারক, শংসাপত্র, কলম, আই-কার্ড, মেডেল প্রভৃতি। চৈতালী গড়াই জানিয়েছেন, ‘‘এটা কোনও রেকর্ড হতে পারে আমি ভাবিই নি। আমার এই আঙুল ফোটানো দেখে সবাই মজা পেত দেখে স্যোশাল সাইট ঘাটতে ঘাটতে জানতে পারি বিভিন্ন অভিনব বিষয়ে রেকর্ড হয়। আমি মজার ছলেই একটা ভিডিও বানিয়ে ওদের সাইটে আপলোড করে দিই। তারপরেই দেখলাম বিষয়টি ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে জায়গা পেয়ে গেছে। বাড়ির সকলে, বন্ধুরাও খুব খুশি।"
বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার বাতাসপুরের বনগ্রামের বাসিন্দা চৈতালী গড়াই। বিশ্বভারতী থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে গবেষণা করছেন। বোলপুরেই থাকেন তিনি দিদির বাড়িতে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সে তাঁর বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলটি নিজের ইচ্ছে মত ফোটাতে পারেন। মিনিটে বেশ কয়েকবার এই কাজ করায় রীতিমতো সচ্ছল চৈতালী। যা আর পাঁচজন মানুষ সচারাচর পারেন না। তাঁর এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় সময় মজা, চর্চা, উপভোগ করত সহপাঠীরা ও পরিজনরা। হঠাৎ মজার ছলে চৈতালী ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সামনে স্টপ ওয়াচ রেখে একটি ভিডিও তৈরি করেন। এই ভিডিও তে দেখা যায় সে মাত্র ১ মিনিটে ১১৬ বার নিজের বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলটি ফোটাতে পারছেন। এই ভিডিও চৈতালী ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এর সাইটে নিজের বিবরণ দিয়ে পাঠিয়ে দেন৷ কিন্তু, কেউ কল্পনাও করেননি যে এই বিষয়টি রেকর্ড হতে পারে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে সদ্য, 'ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড' তাঁর এই বিষয়টি নথিভুক্ত করেছে। যা দেশের মধ্যে একটি অভিনব রেকর্ড।

Comments :0

Login to leave a comment