HARYANA AMIT SHAH BANGAON

হরিয়ানায় বিজেপি প্রার্থীদের তাড়া জনতার, এরাজ্যে অমিত-ভাষণ চারশো পারের!

রাজ্য

বনগাঁয় অমিত শাহ, রয়েছেন শান্তনু ঠাকুরও।

চার দফায় ভোট হয়েছে দেশের ৩৮০ আসনে। তার মধ্যে ২৭০ আসন নাকি বিজেপি’র পক্ষে নিশ্চিত। মঙ্গলবার বনগাঁয় প্রচারে এসে এমনই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
বনগাঁয় এদিন বিজেপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে জনসভা করেন শাহ। শাহ ভাষণে জুড়েছেন, ‘‘চার দফায় ২৭০ আসন বিজেপি’র পক্ষে এসে গিয়েছে। বাকি তিন দফায় এনডিএ’র মোট ৪০০ আসনে পৌঁছানোই এখন লক্ষ্য।’’ 
এর আগে রাজ্যে ৩৫ আসনের লক্ষ্য জানিয়েছিলেন শাহ। এদিন আবার বলেছেন, ৩০ আসনে জিতবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার বলেছিলেন ২৬ আসনে জয় পাবে দল। বস্তুত সারা দেশেই আসন নিয়ে বড় বড় সংখ্যা ঘোষণা করে নাগরিকদের একাংশকে প্রভাবিত করতে চাইছেন বিজেপি’র দুই শীর্ষ প্রচারক নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। 
চারশো পারের স্লোগান যখন এরাজ্যে তুলছেন শাহ, তখনই হরিয়ানায়, নিজেদের গড়ে, পুলিশ পাহারা ছাড়া প্রচারে বেরতে পারছেন না বিজেপি এবং সহযোগী জেজেপি’র প্রার্থীরা। এই হরিয়ানাতেই পাঁচ বছর আগে দশটির মধ্যে দশ আসনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। প্রায় প্রতিটি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা ৫০ শতাংশের বেশি ভোটও পেয়েছিলেন। 
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিজেপি সরিয়েছে মনোহরলাল খট্টরকে। তাঁকে কারনাল কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে লোকসভায়। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও কার্যত তাড়া করছে জনতা। গ্রামে বা শহরের মহল্লায় প্রচভার মিছিল ঢুকলেই ঘেরাও হয়ে যাচ্ছে। কেবল খট্টর নন, এই অভিজ্ঞতা হিসর কেন্দ্রের প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রণজিৎ সিং চৌতালা, সিরসার প্রার্থী অশোক তনওয়ার বা আম্বালার প্রার্থী বানটো কাটারিয়ারও। 
মহিলা কুস্তিগিরদের নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁর ছেলেকে উত্তর প্রদেশে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এবার হরিয়ানায় কুস্তির আখড়ার জন্য খ্যাত এলাকায় জনতা ঘিরে ধরছে বিজেপি এবং সহযোগী প্রার্থীদের। কৃষক আন্দোলনের ওপর দমন, অঙ্গনওয়াড়ি-আশাকর্মী আন্দোলন দমনের ক্ষোভও জুড়ে যাচ্ছে। ক্ষোভের কারণ হচ্ছে সেনাবাহিনীতে অস্থায়ী কাজের প্রকল্প ‘অগ্নিবীর’। বিক্ষোভ কোথাও কোথাও সংঘর্ষের চেহারা নেওয়ায় এখন রাজ্যে বিজেপি’র সংখ্যালঘু সরকার পুলিশ মোতায়েন করছে। পুলিশের পাহারাই ভরসা হয়েছে বিজেপি’র। 
শাহ বনগাঁয় বলেছেন যে কাটমানি, অনুপ্রবেশ, বোমা এবং সিন্ডিকেট রাজ তৃণমূল বন্ধ করতে পারবে না। দুর্নীতিও বন্ধ করতে পারবে না। তার জন্য বিজেপি-কে ভোট দিতে হবে। আর মতুয়া ভোট পেতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন সিএএ নিয়ে। বলেছেন, ‘‘রাহুল বাবা ঠাকুমা এলেও সিএএ বন্ধ করতে পারবে না।’’
যদিও সিএএ নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে সব অংশে। মতুয়াদের মধ্যেও। বস্তুত নিজেদের নাগরিকত্ব বন্ধক রেখে আবেদন করতে হবে নতুন আইনে। অথচ মতুয়ারা দেশের নাগরিক হিসেবেই বিবেচিত হয়েছেন বরাবর। আর শাহের ভাষণের কিছু আগেই কয়লা পাচার কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা জামিন পেয়েছেন আসানসোলের সিবিআই আদালতে। জামিন মিলেছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহারও। 
এদিন এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি সেটিং করে ভাইপোর নাম কয়লা পাচারের চার্জশিট থেকে বাদ দিলেন। লালাকে জামিন করানো হলো বাঁকুড়ায় ভোট করানোর জন্য। আর সিএএ’কে সমর্থন করায় জীবনকৃষ্ণ জামিন পেয়েছেন। ভাইপোকে বাঁচাতে গোটা রাজ্যটাকে বাজি রেখেছেন মমতা।’’

Comments :0

Login to leave a comment