কাতার বিশ্বকাপে কোন দেশের অধিনায়ক কে? খেলেন কোন ক্লাবে? সংক্ষেপে রইল তাঁদের কথা। আজ শেষ পর্ব।
গ্রুপ: ই
স্পেন: অধিনায়ক সের্জিও বুস্কেতস। ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে দারুণ দক্ষ। স্পেনের পাশাপাশি বার্সেলোনার ডিপ ডিফেন্সের অন্যতম স্তম্ভ বুস্কেতস। ২০০৯ মরশুম থেকে স্প্যানিশ জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই খেলে ফেলেছেন ১৩৯টি ম্যাচ।
কোস্টা রিকা: অধিনায়ক ব্রায়ান রুইজ। ৩৭ বছরের রুইজ মূলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেই খেলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। যদিও দলের প্রয়োজনে গোল করতেও প্রস্তুত থাকেন তিনি। ২০০৫ থেকে কোস্টারিকার জাতীয় দলের সদস্য। বর্তমানে কোস্টারিকার আলাজুয়েলেন্সে’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন রুইজ।
জার্মানি: অধিনায়ক ম্যানুয়েল ন্যয়ার। বায়ার্ন মিউনিখ এবং জার্মানি জাতীয় দলের অন্যতম ভরসা হলেন ন্যয়ার। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলছেন। জার্মানির জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ১১৪টি ম্যাচ।
জাপান: অধিনায়ক মায়া ইয়োশিডা।জাপান ডিপ ডিফেন্সের ভরসা ইয়োশিডা সেন্ট্রাল ব্যাক পজিশনে খেলেন। ২০১০ সাল থেকে জাতীয় দলের জার্সি পরছেন। খেলে ফেলেছেন ১২২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বুন্দেশলিগার শালকে ০৪’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন ইয়োশিডা।
গ্রুপ: এফ
বেলজিয়াম: অধিনায়ক ইডেন হ্যাজার্ড। মাঝমাঠের পাশাপাশি উইং ধরেও খেলতে ভালোবাসেন হ্যাজার্ড। বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছেন তিনি। ২০০৮ থেকে বেলজিয়ামের হয়ে খেলছেন হ্যাজার্ড। খেলে ফেলেছেন ১২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
কানাডা: অধিনায়ক আতিবা হাচিনসন। ৩৯ বছরের হাচিনসন ২০০৩ থেকে কানাডার হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলছেন। এখনও অবধি খেলেছেন ৯৮টি ম্যাচ। তুরষ্কের বেসিকতাস’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন এই মাঝ মাঠের খেলোয়াড়।
মোরক্কো: অধিনায়ক রোমাইন সাইস। মূলত মাঝমাঠের খেলোয়াড়। ডিফেন্সেও সমান ভাবে সাবলীল। ২০১২ মরশুম থেকে জাতীয় দলের সদস্য।তুরষ্কের বেসিকতাস’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন রোমাইন।
ক্রোয়েশিয়া: অধিনায়ক লুকা মডরিচ। ২০০৬ সাল থেকে জাতীয় দলের সদস্য। বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন মাঝমাঠের এই খেলোয়াড়।
গ্রুপ: জি
ব্রাজিল: অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। সেন্টার ব্যাক পজিশনের খেলোয়াড়। ব্রাজিলের জাতীয় দলের হয়ে ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত খেলছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মোট ১০৯টি ম্যাচ। চেলসি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন।
সার্বিয়া: অধিনায়ক ডুসান টাডিচ। ফরোয়ার্ড এবং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার- দুই ভূমিকায় সমান সাবলীল টাডিচ। জাতীয় দলের হয়ে ৯১ টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। নেদারল্যান্ডের অ্যাজাক্স এএফসি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন টাডিচ।
সুইজারল্যান্ড: অধিনায়ক গ্রানিট শাকা। আদ্যপান্ত মাঝমাঠের খেলোয়াড়, শাকা সুইজারল্যান্ডের হয়ে ১০৭টি ম্যাচ খেলেছেন। আর্সেনালের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন।
ক্যামেরুন: অধিনায়ক ভিনসেন্ট আবুবাকর। ১০ নম্বর জার্সিধারী আবুবাকর জাতীয় দলের মূল স্ট্রাইকার। ২০১০ থেকে ক্যামেরুনের জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। খেলে ফেলেছেন ৯১টি ম্যাচ। সৌদি আরবের আল-নাস্র’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন আবুবকর।
গ্রুপ: এইচ
পর্তুগাল: অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। উইং, মাঝমাঠ এবং ফরোয়ার্ড- তিন পজিশনেই সমান দক্ষ ক্রিশ্চিয়ানো। সাল থেকে পর্তুগালের হয়ে নিয়মিত খেলছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৯১টি ম্যাচ। বর্তমানে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছেন রোনাল্ডো।
ঘানা: অধিনায়ক আন্দ্রে আইয়ু। স্ট্রাইকার এবং মিডফিল্ডার, উভয় পজিশনেই সমান দক্ষতায় খেলতে পারেন আইয়ু। ঘানার হয়ে ২০০৭ সাল থেকে খেলে ফেলেছেন ১০৯টি ম্যাচ। কাতারের আল-সাদ’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন আইয়ু।
উরুগুয়ে: অধিনায়ক ডিয়েগো গোডিন। সেন্টার ব্যাক পজিশনের খেলোয়াড়, গোডিন ২০০৫ মরশুম থেকে উরুগুয়ে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। আর্জেন্টিনার ভ্যালেস সার্সফিল্ডের হয়ে বর্তমানে ক্লাব ফুটবল খেলছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৫৯টি ম্যাচ।
দক্ষিণ কোরিয়া: অধিনায়ক সন হিউয়েঙ-মিন। ফরোয়ার্ড পজিশনের খেলোয়াড়, মিন ২০১০ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দলের সদস্য। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১০৪টি ম্যাচ। টোটেনহ্যাম হটস্পার’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছেন ৩০ বছর বয়সী মিন।
Comments :0