কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বেশ্বরায় আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্ল্যান্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্তের জেরে কাজ হারাতে চলেছেন হাজার হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী। তাদের পরিবার কি ভাবে চলবে। কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে সরকার তাদের কোন আর্থিক সহায়তা করবে কি না তার কোন ঘোষনা সরকার করেনি।
১০৫ বছরের পুরানো বিশ্বেশ্বরায় আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্ল্যান্ট চলতি আর্থিক বছর থেকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সোমবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন।
কারখানা যে বন্ধ হতে পারে তা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন কর্মীরা। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১৩৪০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিন্ধিয়ার যুক্তি ইস্পাত তৈরির ইউনিট বিনিয়োগকারি খুঁজতে ব্যার্থ এবং ক্যাপটিভ লৌহ আকরিক ব্লকের অভাবের কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না।
কর্ণাটকের বেল্লারি জেলার এনইবি রেঞ্জে ১৪০ হেক্টরেরও বেশি আকরিক লোহা ব্লকটি ২০১১ সালের অক্টোবরে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার এই প্ল্যান্টের জন্য বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু আইনি সমস্যার কারণে ব্লকটি কখনই চালু করা যায়নি।
সিন্ধিয়া সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘২১ অক্টোবর ২০১১ সালে খনি মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেল্লারি জেলায় ১৪০ হেক্টর আকরিক লোহার জন্য একটি খনির ইজারা বরাদ্দ করার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল যা মামলা মোকদ্দমার জন্য কার্যকর করা যায়নি। বিষয়টি আজ অবধি অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে।’
ওই প্ল্যান্টের ইউনিয়নের সভাপতি জে জগদীশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, গোটা ১৪০ হোক্টর জমি নিয়ে সমস্যা ছিল না। ব্যাক্তিগত মালিকানাধিক ১৪ হেক্টর জমিকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। তাঁর কথায় সরকার যদি ওই ১৪ হেক্টর জমি ছেড়ে দিত তাও সরকারের হাতে ১২৬ হেক্টর জমি থাকতো, যেখানে কাজ শুরু করা যেত।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ওই জমি প্ল্যান্টের জন্য যথেষ্ট ছিল, কারণ সেখানে ব্যাপক উৎপাদন হচ্ছে না।প্রতিরক্ষা, অটোমোবাইল, রেলওয়ে এবং পাওয়ার সেক্টরে বিভিন্ন প্রয়োজন অনুসারে ইস্পাত উৎপাদন করা হতো।
এই পরিস্থিতিতে সরকার যেমন কর্মীদের ওপর থেকে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলে ঠিক সেই ভাবে সংস্থার পক্ষ থেকেও দায় ঝেড়ে ফেলা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মীদের জন্য কোন এককালিন আর্থিক সাহায্য বা অন্য কোন সাহায্যের কথা ঘোষনা করা হয়নি। কর্ণাটক বিধানসভায় এই প্ল্যান্ট বন্ধ হওয়ার বিষয়টি উঠলে মুখ্যমন্ত্রী বাসাভারাজ বোম্বাই জানিয়েছেন প্ল্যান্ট যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরব রকম চেষ্টা করা হবে।
Comments :0