বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন বর্ষীয়ান সিপিআই(এম) নেতা কমরেড সুনীত চোপড়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঙ্গলবার মেট্রো চড়ে গুরগাঁও থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন কমরেড সুনীত চোপড়া। মাঝপথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মেট্রোর মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কমরেড চোপড়া।
জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেন কমরেড সুনীত চোপড়া। তিনি এসএফআই’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই ১৯৭২ সালে পার্টির সংস্পর্ষে আসেন তিনি।
সুনীত চোপড়া ডিওয়াইএফআই গড়ার অন্যতম প্রধান স্থপতি ছিলেন। পরবর্তীকালে খেতমজুর আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উত্তর-পশ্চিম ভারতে খেতমজুর আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সিপিআই(এম)’র ১৫তম পার্টি কংগ্রেস থেকে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল অবধি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করতেন সুনীত চোপড়া। শিল্প সমালোচক হিসেবেও সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি।
কমরেড সুনীত চোপড়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সিপিআই(এম)’র পলিটব্যুরো। এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে পলিটব্যুরো জানিয়েছে, কমরেড সুনীত চোপড়ার প্রয়াণে একজন প্রকৃত কমিউনিস্টকে হারাল পার্টি। তাঁর পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানিয়েছে পলিটব্যুরো।
কমরেড সুনীত চোপড়ার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে মঙ্গলবার বিবৃতি দেয় সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। বিবৃতিতে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি তুষার ঘোষ ও সম্পাদক নিরাপদ সরদার জানিয়েছেন, ইউনিয়নের জন্ম লগ্ন থেকে কমরেড সুনীত চোপড়া আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উঁচু মাপের শিল্পী। আজ খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য দপ্তরে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
Comments :0