কেরালার শিক্ষাক্ষেত্রে গেরুয়াকরণের চেষ্টা চলবে না। মুখ্যত এই দাবিকেই সামনে রেখে কেরালার ‘শিক্ষা বাঁচাও কমিটি’-র ডাকে বিশাল মিছিল হলো রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে। মঙ্গলবার রাজভবন অভিমুখে এই মিছিলের সূচনা করেন সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যপালকে ব্যবহার করে কেরালার উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’’
কেন্দ্রের প্রতিনিধি আরিফ মহম্মদ খান সাংবিধানিক পদে বসেই সরাসরি রাজনৈতিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন কেরালার বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হস্তক্ষেপ করছেন। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর পক্ষে অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। ক্ষিপ্ত রাজ্যপাল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়নকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন।
এদিন বিশাল মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘‘উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে বাঁচাতে হবে’’, ‘কেরালার মানুষকে বিপন্ন করার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে’। এদিনই কলকাতায় সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও কেরালায় রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করেন। অপছন্দের প্রশ্ন করায় দুই সাংবাদিককে বের করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। সেলিম বলেন, একজন রাজ্যপাল এমন ভূমিকা নিতে পারেন না।
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘সংবিধানে শিক্ষা রয়েছে যৌথ তালিকায়। কেন্দ্র এবং রাজ্যের সমান অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বারেবারে রাজ্যকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে।’’
মিছিল এবং জনসভায় অংশ নেন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দও। ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবাও যোগ দেন সমাবেশে।
Comments :0