এদিন নৈহাটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথমার্ধে কে বুনান্দো সিং এবং সার্থক গোলুইয়ের করা গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল ২-১ গোলে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হয়ে ১টি গোল করেন সুব্রত বিশ্বাস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই যদিও ম্যাচে সমতায় ফেরে পুলিশ ব্রিগেড। ৪৮ মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের খেলোয়াড় রাজীব দত্ত।
দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় কিছুটা চাপে পড়লেও ক্রমশ মাঝমাঠ গুছিয়ে নেয় লালহলুদ। ৭০ থেকে ৮০ মিনিটের মধ্যবর্তী সময়ে কার্যত আক্রমণের ঝড় তোলে ইস্টবেঙ্গল। ৭০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন দীপ সাহা। এরপর ৭৪ মিনিটে পুলিশের ডিফেন্সের গাফিলতি এবং নিজের গতিকে কাজে লাগিয়ে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন অভিষেক কুঞ্জম।
এদিনের ম্যাচে অজস্র গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন লালহলুদ খেলোয়াড়রা। সমস্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে খেলার ফলাফল ইস্টবেঙ্গলের অনুকুলে ৭-২ কিংবা ৮-২ হতে পারত। আক্রমণভাগের পাশাপাশি ডিফেন্স নিয়েও চিন্তায় থাকতে হবে লালহলুদ টিম ম্যানেজমেন্টকে।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এদিন নজর কেড়েছেন কুশ ছেত্রী। লিগের প্রথম ম্যাচে রেইনবো’র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ড্র করলেও নজর কেড়েছিল কুশের খেলা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইস্টবেঙ্গল সূত্রে খবর, আইএসএল দলের জন্যও কুশের নাম বিবেচনায় রয়েছে। এর পাশাপাশি এদিন ভালো ফুটবল খেলেছেন দীপ সাহা, গোলরক্ষক মহম্মদ নিশাদ, মহম্মদ নিয়াস এবং শ্যামল।
এই জয়ের ফলে গ্রুপ বি’র তৃতীয় স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। ২ ম্যাচ খেলে তাঁদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে জর্জ টেলিগ্রাফ।
Comments :0