হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে মুখ্যসচিবের অনুমতি না পাওয়ায় পার্থ সহ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া তারা শুরু করতে পারছেন না। মঙ্গলবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ২মে’র মধ্যে অবস্থান নির্দিষ্ট করতে হবে মুখ্যসচিবকে। এর আগে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।
এদিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মুখ্যসচিব নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে ব্যাস্ত থাকায় অনুমতি দিতে পারেননি। রাজ্যের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আদালত আরও বলেছে যে, যদি এই সময়ের মধ্যে মুখ্যসচিব তার অবস্থান স্পষ্ট না করেন তবে তিনি আদালত অবমাননার আওতায় পড়বেন।
উল্লেখ্য সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চ জানিয়েছে কমিশন অবৈধ নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারনিউমারি পোস্ট তৈরির জন্য আবেদন জানিয়েছিল। রাজ্য মন্ত্রীসভা সেই বেআইনি সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছিল। যারা এর অনুমোদন দিয়েছিল প্রয়োজনে তাদেরও তদন্তের আওতায় আনা হবে। এই রায়ের ফলে চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার আদালতের পক্ষ থেকে অন্য একটি মামলায় যে ভাবে সময়সীমা বেধে দেওয়া হলো তাতে আরও চাপ বাড়লো রাজ্য সরকারের ওপর।
Comments :0