রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই কর্মীদের ‘ক্রিমিনাল’ বলে চিহ্নিত করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘যারা গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা এক একজন ক্রিমিনাল। মুখ্যমন্ত্রীর আশকারায় তারা এই কাজ করেছে।’’
উপাচার্য হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিজেপির নির্দেশ অনুজায়ী কেরালার এাকধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটে আরএসএস বিজেপির মদতপুষ্ট ব্যাক্তিদের পদে বসাচ্ছেন কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের এই কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে গোটা রাজ্য জুড়েই প্রতিবাদের নেমে এসএফআই। কেরালার বামপন্থী সরকারও উপাচার্য তথা রাজ্যপালের এই ভূমিকার নিন্দা করেছে।
এসএফআই কেরালা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ে শনিবার বিক্ষোভ দেখানো হয়। কলিকট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পি এম আশরো এবং রাজ্য সভাপতি অনুশ্রী। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। তার গাড়ির সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্র ছাত্রীরা। ছাত্রদের এই বিক্ষোভ আটকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ নামানো হয়। বিক্ষোভকারিদের গ্রেপ্তার করে কেরালা পুলিশ। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে মাথা ফাটে অনেকের।
সেনেটে সদস্য নির্বাচন ঘিরে এসএফআই এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেই অভিযোগ তোলা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের সাফাই তিনি বিভিন্ন সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে সদস্য নির্বাচন করছেন বা করেছেন। এছাড়া তার বক্তব্য তিনি একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ উত্তর দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য কেরালা এক মাত্র রাজ্য যেখানে বামপন্থী সরকার রয়েছে। ২০২১ সালের নির্বাচনে কেরালা থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে। একটি আসনও তারা পায়নি। কেরালার পিনারাই বিজয়ন সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু বিভিন্ন বাঁধা থাকা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেরালা সরকার। প্রশাসনিক ভাবে যেমন চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি তেমন ভাবেই রাজনৈতিক আক্রমন চালাচ্ছে তারা কেরালায়। আরএসএস বিজেপি দুষ্কৃতিদের হাতে খুন হয়েছেন বহু সিপিআ(এম) কর্মী সমর্থক। খুন হয়েছেন এসএফআই নেতা অভিমুন্য।
Comments :0