১৩ ডিসেম্বর সংসদের ভিতর হুজ্জতি প্রসঙ্গে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করা হয় বিরোধী সাংসদের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে সংসদে বিক্ষোভও দেখান। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। অথচ এই ঘটনায় ধৃতদের থেকে বিজেপি সাংসদের সিমহার সই করা পাশ পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
দেশের সর্বত্র হয়েছে প্রতিবাদ। সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরা অংশ নিয়েছেন সর্বত্র। লক্ষ্ণৌয়ে জমায়েতে ছিলেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি। ছিল ‘ইন্ডিয়া’-র অন্য দলগুলিও। বিজয়ওয়াড়া, হায়দরাবাদেও হয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে বক্তব্য রেখেছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত।
দিল্লিতে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের নেতা রাহুল গান্ধীও।
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘কেউ কখনও শোনেনি ১৪৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরা ফের জিতে এলে সংসদ থাকবে কিনা প্রশ্ন রয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানের প্রথম শব্দ আমরা, মানে জনতা। জনতাই সার্ভভৌমত্ব প্রয়োগ করে। জনতা সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে। সাংসদরা সরকার ঠিক করে। সরকার সংসদে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। সাংসদরা জনতার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। সংবিধানই এই ব্যবস্থা করেছে। তাকে ভাঙা হচ্ছে।’’
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘আজ সংসদ বন্ধ করে রেখেছে, সাংসদদের বহিষ্কার করছে। আসলে সংবিধান ধ্বংস করা হচ্ছে।’’
Comments :0