বিশ্বের একের পর এক শহরে চলছে প্রতিবাদ। দাবি উঠছে যুদ্ধবিরতির।
এক বছরেও বন্ধ হয়নি গাজায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযান। বরং, ইজরায়েলের বোমারু বিমান খুঁজে নিচ্ছেন নতুন ভূগোল। আক্রান্ত লেবানন। সেদেশেও মৃত্যু ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় হাজার খানেক মানুষ নেমেছেন রাস্তায়, যুদ্ধবিরতির দাবি তুলে। আবার ইউরোপেও পড়েছে বিক্ষোভের জের। ইতালির রাজধানী রোমে নেমেছেন প্রতিবাদীরা। দাবি যুদ্ধ বন্ধের। বহু প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে ইতালির অতি দক্ষিণপন্থী সরকার।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদে ধিক্কারের মুখে পড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগী দেশগুলিও। প্রতিবাদীরা বলছেন আমেরিকার মদত ছাড়া এত বেপরোয়া হতে পারত না ইজরায়েল। রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাশ হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। আন্তর্জাতিক আদালতে ইজরায়েলের কাছে গণহত্যার ব্যাখ্যা চাোয়া হয়েছে। তবু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধবিরতির কোনও ইঙ্গিত দিতেই নারাজ।
রবিবার ফিলিপিন্সেও বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে হয়েছে মিছিল। ম্যানিলায় আমেরিকার দূতাবাসের সামনে হয়েছে বিক্ষোভ। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে মিছিলে উঠেছে স্লোগান, ‘ইজরায়েল জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র।’ জোহানেসবার্গ এবং ডারবানেও হয়েছে মিছিল।
ভেনেজুয়েলার কারাকাসেও যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশাল মিছিল হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার হামাস হামলা চালায় ইজরায়েলে। গাজার এই হামলাকে সমর্থন করছেন না প্রতিবাদীরা। ইজরায়েলের প্রায় ১১০০ বাসিন্দা নিহত হন, তার নিন্দাও করা হচ্ছে। কিন্তু পালটা হানাদারিতে নেমে ইজরায়েল এক বছরে হত্যা করেছে ৪২ হাজার প্যালেস্তিনীয়কে। হামাসের হামলার আরও আগে থেকে প্যালেস্তাইনে লাগাতার দখলদারি চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের সেনা আক্রমণে বারবার নিহত হয়েছেন, ঘরছাড়া হয়ে চলেছেন প্যালেস্তাইনের মানুষ। প্রতিবাদীরা দখলদারির এই ইতিহাস মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
CEASEFIRE GAZA RALLY
গণহত্যার এক বছরে যুদ্ধবিরতির দাবিতে মিছিল বিশ্বজুড়ে
×
Comments :0