POLICE BOLPUR

অস্ত্র মজুতের দায়ে পুলিশের 'ডাক মাস্টার' গ্রেপ্তার বোলপুরে

জেলা

ধৃত সুভাষ চ্যাটার্জি।

পুলিসের 'ডাক মাস্টার'ই গ্রেপ্তার অস্ত্র আইনে। শুধু তাই-ই নয়, পুলিশের এই 'এজেন্টে'র বিরুদ্ধে গাজা পাচার চক্রে সংযোগেরও অভিযোগ উঠেছে। 

এমনিতেই আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ার যোগ সামনে আসায় মুখ পুড়েছে পুলিশের৷ এবার অস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার পুলিসের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা ব্যক্তি৷ যা ঘিরে শোরগোল পড়েছে বোলপুরে।  শববাহী গাড়ি করে গাজা পাচার হচ্ছিল৷ সেই গাড়ি পাকড়াও করে পুলিস। তার তদন্ত চলছে। তার মাঝেই  সুভাষ চ্যাটার্জি ওরফে বাপি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ৷ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ 

এই বাপি বোলপুর থানার 'ডাক মাস্টার' হিসাবে পরিচিত এলাকায়৷ ধৃতকে শনিবার বোলপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের সরকারি আইনজীবী উদয় কুমার গড়াই জানিয়েছেন, "ধৃতের কাছ থেকে রিভলবার উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ২৫ ও ২৭ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে। ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।" উল্লেখ্য,  সদ্য বোলপুরের মুলুকে একটি শববাহী গাড়ি আটক করেছিল পুলিশ৷ সেই গাড়ি থেকে ১৮৪ টি প্যাকেটে প্রায় ১ কুইন্টাল ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল৷ ওড়িশার কালাহাণ্ডি থেকে এই গাঁজা বোলপুরে আসছিল৷ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷  ধৃতদের জেরা করে বোলপুরে বেশ কয়েকজন গাঁজা কারবারি ও মাফিয়ার নাম পায় পুলিশ৷ তদন্তে নেমে বোলপুরের কেটো পুলের কাছ থেকে সুভাষ চ্যাটার্জি ওরফে বাপি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ধৃতের বাড়ি বোলপুরের রজতপুরে। যদিও, ধৃত ব্যক্তিকে অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র ব্যবহার ও মজুত ২৫ ও ২৭ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে৷  গাজা উদ্ধারের পরে পরেই পুলিস ঘনিষ্ট এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পেছনে  গাজা পাচারের যোগ রয়েছে কি না সেই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহল দানা বেধেছে।  

উল্লেখ্য, বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় রমরমিয়ে চলে গাঁজার কারবার। বিশেষ করে এই দুই থানা এলাকার একাধিক জায়গা চলে যায় নেশাগ্রস্তদের দখলে৷   আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ার যোগ,  তারপরেই গাঁজা পাচার ও অস্ত্র মজুতের অভিযোগে পুলিশেরই 'ডাক মাস্টার' গ্রেপ্তার, স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন তুলেছে।

Comments :0

Login to leave a comment