কেরালার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Chancellor)পদ থেকে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে (Arif Md Khan) অব্যাহতি দিতে অর্ডিন্যান্স জারি হবে কেরালায়। বুধবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘাতের পথ নিয়েছেন কেন্দ্র নিযুক্ত রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যের বিরোধিতা করেছেন রাজ্যপাল। অর্ডিন্যান্সে ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিন। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarai Vijayan)সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সই করার জন্য অর্ডিন্যান্সের বয়ান পাঠানো হবে রাজ্যপালকে।
কেরালার প্রায় ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, পদাধিকারবলে যার প্রত্যেকটিরই আচার্য রাজ্যপাল। অর্ডিন্যান্স জারি হলে রাজ্যপাল আচার্য থাকবেন না। মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে যে আচার্য ও উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পুঞ্চি কমিশনের সুপারিশ মানা হবে। দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মদন মোহন পুঞ্চি কমিশনের সুপারিশ ছিল রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়াই শ্রেয়। কারণ তাঁর অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় এদিন জানিয়েছে, পুঞ্চি কমিশনের সুপারিশ মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যপদে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়োগ করা হবে। শিক্ষার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত এমন ব্যক্তিবর্গই শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করতে পারবেন এবং কেরালার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিশ্বমানের করে তুলতে পারবেন।
অর্ডিন্যান্স প্রসঙ্গে কেরালার আইনমন্ত্রী পি রাজীব (P Rajeev) বলেন, কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ একটি সাংবিধানিক পদ। এই আচার্য পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য শুধু আইন সংশোধন করে রাজ্যপালকে অব্যাহতি দিতে চেয়েছে।
রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদত্যাগ করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উপাচার্যরা কেরালা হাইকোর্টে মামলাও করেন। আগামী ১৭ নভেম্বর সেই মামলার শুনানি রয়েছে।
রাজ্যপাল কি অর্ডিন্যান্সের বয়ানে সই করবেন? এই প্রশ্নে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু (R Bindu) বলেন, আশা করা যায় যে রাজ্যপাল সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। রাজ্যপালের ভূমিকায় কেরালার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
যদিও প্রস্তাবিত অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করেছে কেরালার কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়করা।
Comments :0