মেয়ের জন্মদিনের দিনেই ধর্ষক খুনির ফাঁসির নির্দেশ। গুড়াপে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা চুঁচুড়া আদালতের। নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষীকে গত ১৫ জানুয়ারি বুধবার সাব্যস্ত করেছিল চুঁচুড়া আদালত। শুক্রবার দোষীকে মৃত্যুদণ্ড চুঁচুড়া আদালতের। স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি দশ লাখ টাকা দেবে শিশুটির পরিবারকে। ঘটনার তদন্তে ২৭ জনের সাক্ষ গ্রহণ করা হয়। পকসো কোর্টের বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী এদিন দোষীকে সর্বচ্চ সাজা শোনান।
গত ২৪ নভেম্বর গুড়াপের একটি গ্রামে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। হুগলির পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল হুগলি পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। এই মামলায় ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১১ তারিখ চার্জ গঠন হয়। মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর বুধবার অভিযুক্ত অশোক সিংকে দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়া পকসো আদালতের বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল শিশুটি। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। পাড়ার সবাই মেয়েটিকে খোঁজার পর অবশেষে প্রতিবেশী অশোক সিং-এর বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়। প্রতক্ষদর্শীরা জানান উদ্ধার করার সময় নাবালিকা বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। তাকে হত্যা করে কম্বল, মশারি, কাঠ চাপা দিয়ে ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
শিশুটির দেহ খুঁজে পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। গুড়াপ থানার পুলিশ অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করে। পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরের দিনই শিশুটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
মেয়েটা জন্মদিনে কেক খেতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই জন্মদিনে মেয়ের ধর্ষক খুনির মৃত্যু কামনা করেছিলাম। মেয়েকে কেক দিতে পারিনি কিন্তু অপরাধীর শাস্তি হয়েছে। এতেই খুশি শিশুর মা।
মামলার সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলী বলেন, ‘‘যে ভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল শিশুকে তার তথ্য প্রমান যা দাখিল করা হয়েছে তাতে সর্বচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য ছিল।’’
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সদর সিঙ্গুরের কামারকুন্ডুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তিনি বলেন, ‘‘শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জিং ছিল মামলাটা। ঘটনার পর দিন সিট গঠন করা হয়। খুব দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত হয়েছে। প্রসিকিশান যে ভাবে কাজ করেছে যার ফলে খুব দ্রুত এই মামলার বিচার দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’ শিশুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন,‘‘শিশুকে ফিরিয়ে দিতে পারব না কিন্তু সঠিক বিচারে তারা মানসিক শান্তি পাবেন।’’
Death Sentence
গুড়াপে শিশুকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা
×
Comments :0