আমেরিকার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন ট্রাম্প সকারের বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে। শনিবার মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদে সামিল হন মার্কিন জনতা। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি পদে ফের আসীন হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের নীতির বিরোধীরা সরকারি ক্ষেত্রে কর্মী সংখ্যা কমানো, বাণিজ্য শুল্ক এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, হিউস্টন, ফ্লোরিডা, কলোরাডো এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে সহ অন্যান্য জায়গায় হয়েছে বিক্ষোভ। ৪৩ বছর বয়সী নিউ ইয়র্কের চিত্রশিল্পী শাইনা কেজনার ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্রের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে বলেন, "আমি খুবই বিক্ষুব্ধ এবং ক্ষিপ্ত। একদল সুবিধাভোগী শ্বেতাঙ্গ ধর্ষক আমাদের দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা আমাদের জন্য ভালো কিছু নয়।"
ওয়াশিংটনের রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এদিন জড়ো হন। যাদের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন। ন্যাশনাল
শুল্কযুদ্ধে নেমে বিশ্বকে শাসাতে নেমেছেন দেশের রাষ্ট্রপতি। ২ এপ্রিলকে ঘোষণা করেছেন বিদেশি পণ্য পরিষেবা থেকে মুক্তির দিন হিসেবে। কিন্তু নিজের দেশের জনতার বিক্ষোভ সামলাতে পারছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। সপ্তাহের শেষে আমেরিকার প্রায় সব বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে ট্রাম্প এবং তাঁর ধনী সাঙাতদের শাসনের প্রতিবাদে।
কোথাও বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, একজন উন্মাদ দেশটাকে সর্বনাশের পথে নিয়ে যাচ্ছে। শুল্ক যুদ্ধের মানে বাড়তি দামের বোঝা চাপানো হচ্ছে আমাদের ওপর। কোথাও কোথাও প্রতিবাদীরা বলেছেন, আমরা আসলে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। আরেক শহরে স্লোগান উঠেছে, ট্রাম্প এবং তার ধনী সঙ্গীদের একতরফা শাসন মানছি না।
ওয়াশিংটনের পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, হাউস্টন ফ্লোরিডার মতো বহু জায়গায় হয়েছে বিক্ষোভ।
প্রতিবাদী বাইক ট্যুর গাইড ডায়ান কোলিফ্রাথ জানাচ্ছেন, "বিভাজনের নীতির ফলে বিশ্বজুড়ে আমাদের মিত্রদের হারাতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমাদের ধ্বংস করে দিচ্ছে।"
বিক্ষোভকারীরা বলছেন ট্রাম্প সরকার আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়ে একতরফাভাবে সীমান্ত ও বাণিজ্যের প্রশ্নে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলিকেও তীব্র চাপ দিচ্ছে। ফলে শেয়ার বাজার পতনের মুখে পড়েছে। বিক্ষোভকারী ডমিনিক স্যান্টেলা বোস্টনে বলেন, "সত্যি কথা বলতে আমরা ফ্যাসিবাদকে রুখতে এখানে এসেছি।’’
মিলওয়াকিতে বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘মাস্ক-ট্রাম্প জুটির একতরফা শাসন মানছি না। অভিবাসীদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়ার নীতি মানছি না। মানছি না শুল্কযুদ্ধ। মানছি না আমাদের কাজ কেড়ে নেওয়ার ছলাকলা।’’
ধনকুবের এলন মাস্ককে সরকারি দক্ষতা দপ্তরে বসিয়েছেন ট্রাম্প। আসীন হয়েই হাজারে হাজারে সরকারি চাকরি থেকে কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করেছেন মাস্ক। প্রতিবাদ হয়েছে এই নীতির।
Trump Protest USA
ট্রাম্পের ছাঁটাই, শুল্কনীতির প্রতিবাদ আমেরিকাজুড়ে

×
Comments :0