Protest at Bardhaman

শক্তিগড়ে আদিবাসী তরুণী খুন, দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পথ অবরোধ

রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘রাত দখলের’ রাতেই বর্ধমানে খুন হন একজন আদিবাসী তরুণী। ঝাঁপানতলা এলাকার নির্জন ফাঁকা মাঠে মেলে তরুণীর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শক্তিগড় থানা এলাকায় আদিবাসী তরুণীর নৃশংস খুনের ঘটনায় এলাকায় মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেছেন, ‘‘খুনিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। কিন্তু খুনের এতো দিন পরেও পুলিশ কেন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে কেন পারলো না তা নিয়ে দোষীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে শক্তিগড়ে বিক্ষেভ ও পথ অবরোধে নেমেছে আধিবাসি সংগঠনের মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ২২ বছর বয়সি নিহত আদিবাসী তরুণীকে খুনের ঘটনায় যুক্ত অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।নিশ্চিত করতে হবে দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তির। আধিবাসি সংগঠনের তরফে রবিবার জানানো হয় শুধু বর্ধমানে আদিবাসী তরুণীকে খুনের ঘটনায় নয় আমরা নিন্দা করছি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায়। এখনও বিচার মেলেনি। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। 
নিহত আদিবাসী তরুণী বেঙ্গালুরুতে একটি শপিং মলে কাজ করতেন। বছর খানেক আগে তিনি সেই কাজে যোগ দেন। সেখান থেকে খুন হওয়ার দু’দিন আগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ মা’কে বাথরুমে যাবার কথা বলে তিনি ঘর থেকে বের হন। তারপর থেকে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যাবার পরেও ওই তরুণী ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়েন। মেয়ের খোঁজে নামেন তাঁরা। খোঁজ চালাতে চালাতে বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫০ ফুটের মধ্যেই গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তাঁদের চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে পাড়া প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে মাটিতে পড়ে থাকা তরুণীর গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে শিউরে ওঠেন মানুষ। ঘটনার চার দিন পরেও দোষীকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি পুলিশ। দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন পথ অবরোধ শুরু হয় বেলা ১২টা নাগাদ। দুপুর ৩টের পরেও অবরোধ চলছে বলে জানা গেছে।

Comments :0

Login to leave a comment