বিকেলে যোগ্য অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করতে পারে এসএসসি। তার আগে সোমবার সকালে মিছিল করে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীরা। তাদের কথায় যতক্ষন না পর্যন্ত তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে তারা তাদের অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৫৭২ জন ২০১৬ সালে এসএসসি চাকরি পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী। ১ এপ্রিল ব্রাত্য বসু জানান যে ২১ এপ্রিল এসএসসির পক্ষ থেকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বলেছে, যারা এসএসসি তালিকায় ‘টেইন্টেড’ নন তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকতার কাজে বহাল থাকতে পারবেন। কিন্তু ২০১৬ সালের এসএসসি তালিকায় ‘গ্রুপ সি’ এবং ‘গ্রুপ ডি’ কর্মীরা এর মধ্যে পড়ছেন না। কারণ স্কুলগুলিতে পড়াশোনা চালু রাখার স্বার্থ জানিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে বলেছে, এই সব পদে নতুন করে নিয়োগ করতেই হবে। যাঁরা ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করবেন তাঁরা কোনও বাড়তি সুবিধা পাবেন না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে মে’র মধ্যে। শীর্ষ আদালতে হলফনামা দাখিল করে তা জানাতেও হবে।
ফলে, ৩ এপ্রিল চাকরি বাতিলের রায়ে কোনও বদল হলো না। কেউ মোটেই চাকরি ফিরে পেলেন না। যোগ্যরা কাজ হারালেন এসএসসি, পর্ষদ এবং রাজ্য সরকারের জন্য। এই তিন পক্ষই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে চাকরি জালিয়াতিকে আড়াল করে গিয়েছে।
এদিন আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা জানিয়েছেন তারা সরকারের কথা অনুযায়ী স্কুলে ফিরবে না। আগে তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে সেই তালিকা প্রকাশ করার পর তারা স্কুলে ফিরবে।
উল্লেখ্য এই এসএসসি দুর্নীতি মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আদালতে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট বার বার এসএসসি এবং শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিল যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা তাদের কাছে জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু সরকার বা এসএসসি কোন তালিকা জমা দেয়নি। শীর্ষ আদালতের রায় যখন প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি চলে গেলো তখন এসএসসি এবং শিক্ষামন্ত্রী বলছে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব। তাহলে এখানেই প্রশ্ন আগে কেন তারা তালিকা প্রকাশ করলো না? আর যদি এখনও তারা তালিকা প্রকাশ করে তাহলে তাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ফের পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমান করে চাকরি পেতে হবে চাকরিহারাদের। এখানেই প্রশ্ন থাকছে এর দায় কি সরকার নেবে?
Comments :0