রামমন্দিরের মতো বিষয় যখন-তখন তুলতে না করছেন। তা’হলে উপাসনাস্থল আইনের প্রশ্নে সমর্থনের ঘোষণা করছেন না কেন।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন তুলল সিপিআই(এম)।
পুনেতে ‘বিশ্বগুরু ভারত’ শীর্ষক আলোচনায় ভাগবতের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা ছড়িয়েছে।
আরএসএস’র সরসঙ্ঘচালক বলেছেন, ‘‘কেউ কেউ হিন্দুদের নেতা হতে চেয়ে রামমন্দিরের মতো বিতর্ক বাঁধাতে চাইছেন যখন-তখন।’’ ভাগবত বলেন, ‘‘বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সমন্বয়ের উদাহরণ হওয়া দরকার ভারতের।’’
আরএসএস’র মুখের কথা আর মনের কথার মিল কতটা তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছে সিপিআই(এম)। সোশাল মিডিয়া পোস্টে পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, ‘‘আরএসএস প্রধান যা বলছেন তার সঙ্গে কাজের মিল নেই। ১৯৯১’র উপাসনাস্থল আইনের পক্ষে সমর্থনের ঘোষণা করুন তা’হলে।’’
ভারতকে বিভিন্ন ধর্মের সমন্বয়ের ক্ষেত্র বলে আদর্শগত বিচারেই মনে করে না আরএসএস। বিজেপি’র ভিত্তি সংগঠন বস্তুত ফ্যাসিবাদী লক্ষণ সম্পন্ন ‘হিন্দুরাষ্ট্র’-র পক্ষে। সংসদে সংবিধান বিতর্কে আরএসএস’র ধর্মনিরপেক্ষতায় স্পষ্ট বিরোধও এসেছে আলোচনায়।
ভাগবত বলেছেন, ‘‘রামমন্দির বিশ্বাসের বিষয় ছিল। হিন্দুরা মনে করেছিল তা নির্মাণ হওয়া উচিত। নতুন কয়েকটি ক্ষেত্র ঘিরে বিতর্ক তোলা অনুচিত।’’
আরএসএস এবং বিজেপি নিজেই কেবল অযোধ্যায় বাবরি মসজিদে আটকে নেই। ‘কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘ পরিবারের এমন স্লোগানও নতুন নয়। তবে বিজেপি বিপদে পড়লে এমন ‘সমন্বয়ের বার্তা ’ ছড়াতে নামে আরএসএস। আম্বেদকরের বদলে বারবার ঈশ্বরের নাম নিলে স্বর্গলাভ হতো, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহের মন্তব্যে বিপাকে বিজেপি।
উত্তর প্রদেশের সম্ভল বা রাজস্থানের আজমেঢ় দরগার মতো দেশজুড়ে একের পর এক জায়গায় মুসলিম উপাসনাস্থলে সমীক্ষার আবেদন জমা পড়ছে। মসজিদ ভেঙে মন্দির করার দাবি তোলা হচ্ছে। সমীক্ষার নির্দেশও দিচ্ছে বিভিন্ন নিম্ন আদালত।
কিন্তু উপাসনা স্থল আইন অনুযায়ী এমন আবেদন নিম্ন আদালতে খারিজ হওয়ার কথা। কারণ ১৯৯১’র এই আইন অনুযায়ী ১৯৪৭’র ১৫ আগস্ট প্রতিটি ধর্মস্থানের যা চরিত্র তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টে আবার এই আইনকেই বাতিল করার জন্য জমা পড়েছে আবেদন।
সিপিআই(এম) সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়েই বলেছে, মন্দির-মসজিদ বিতর্ক তোলায় আপত্তি থাকলে আরএসএস প্রধান কেন সমর্থন করছেন না উপাসনাস্থল আইনকে।
সিপিআই(এম) ভাগবতকে উদ্দেশ্য করেই পোস্টে বলেছে, ‘বিভিন্ন মসজিদ ঘিরে বিতর্ক তৈরি করতে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে আদালতে, সেগুলি তুলে নিতে বলুন। এরা প্রায় সবাই তো সঙ্ঘ পরিবারেরই!’
MOHAN BHAGWAT CPI(M)
তা’হলে উপাসনাস্থল আইনে সমর্থন জানান, আরএসএস প্রধানের মন্তব্যে সিপিআই(এম)
×
Comments :0