North Bengal Medical College and Hospital

‘থ্রেট কালচার’, দুর্নীতি: উত্তরবঙ্গে ঘেরাও করে সোচ্চার চিকিৎসক ছাত্ররা

রাজ্য জেলা

ছবি রাজু ভট্টাচার্য।

‘থ্রেট কালচার’, সেই সঙ্গে দুর্নীতিও। উত্তর মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চালাচ্ছে দুই-ই। বুধবার তারই প্রতিবাদে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখালেন চিকিৎসক-পড়ুয়ারাই। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল নেতা এবং রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেবও। 
এদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দু’জনকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চালান চিকিৎসক পড়ুয়ারা। চিকিৎসক-পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দিতে হবে। শাহিন সরকার এবং সোহম মণ্ডল নামে দু’জন হাউস স্টাফ তৃণমূলের নামে মেডিক্যাল কলেজে দাদাগিরি চালান। তাঁদের দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে বলেও দাবি উঠেছে।
এর আগেই ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এই কলেজেরই পড়ুয়াদের কেউ কেউ তাঁদের ‘দেখে নেওয়ার’, এমনকি প্রাণে মারার হুমকিও দিচ্ছেন। কলেজের এক অধ্যাপক চিকিৎসকও এই ‘থ্রেট কালচার’-র সঙ্গে যুক্ত। 
আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে শামিল সমাজের সব স্তরের মানুষ। এই প্রতিবাদের পর্বেই একের পর এক মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক পড়ুয়া থেকে চিকিৎসকরা সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মদতে দুর্নীতি এবং হুমকির আবহের বিরুদ্ধে। বারবার আড়াল করার চেষ্টা করলেও গণপ্রতিবাদের মুখে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য প্রশাসনকে। 
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসক-পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, আর জি কর কাণ্ডে চর্চায় আসা চিকিৎসক অভীক দে-কে এই কলেজে ঢোকা নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলা হয়েছে৷
আইএমএ জানিয়েছে, আর জি কর হাসপাতালে হত্যার পর সেমিনার কক্ষে যাদের ছবি দেখা গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এই অভীকও। এই চিকিৎসক-পড়ুয়া তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। খুনের অকুস্থল সেমিনার রুমে এই অভীক কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকরা। 
আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর যেন খুলছে একের পর এক দুর্নিতীর ঝাঁপি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একের পর এক দুর্নীতি রাজ্যের প্রায় সব হাসপাতালেই। অথচ এএইচএসডি’র মতো সরকারি চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন এই দুর্নীতি-হুমকির বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই সরব। এতদিন আড়াল করা হলেও, যত দিন যাচ্ছে, জনতার সামনে বেআব্রু হয়ে পড়ছে তৃণমূলের কুকীর্তি।

Comments :0

Login to leave a comment