PRIMARY TET

প্রশিক্ষণহীনরাই এত বেশি কেন,
প্রশ্ন পর্ষদ সভাপতির ব্যাখ্যায়

রাজ্য

PRIMARY TET যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন বামপন্থীরা

রায় পুনর্বিবেচনার দিকে এগোবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৪’র প্রাথমিকে নিয়োগের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছে। প্রশিক্ষণ বিহীনদেরই চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই নির্দেশের পরে এমনটাই জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। 

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল রায়ের কিছু পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তিনি বলেছেন, আইনজীবী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে পর্ষদ। ডিভিশন বেঞ্চ বা উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবা হবে। নির্দেশের লিখিত প্রতিলিপি হাতে পৌঁছালে তা দেখা হবে। 

পর্ষদ সভাপতির দাবি, অ্যাপটিচিউড টেস্ট হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন ইন্টারভিউতে অ্যাপটিচিউড টেস্টের কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। এই টেস্টে পরীক্ষার্থীদের চক-ডাস্টার নিয়ে পরীক্ষা দিতে হয় বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। এই বেনিয়মের সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তৃণমূলের এই বিধায়ক আপাতত জেলে রয়েছেন। 

গৌতম পালের দাবি, চাকরি বাতিল যাদের হয়েছে, একই যোগ্যতায় অন্যরা চাকরি করছেন। ২০১৬ সালের নিয়মাবলী পালন করে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্ট হয়েছে। 

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। আবার ২০১৪’র বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বাকি ৬ হাজারের কিছু বেশি নিযুক্তকে বহাল রাখার নির্দেশও  দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

প্রশ্ন এখানেই, ৪২ হাজারের কিছু বেশি নিয়োগ হলো। প্রশিক্ষণ বিহীন পরীক্ষার্থীরাই এমন বিপুল অনুপাতে নিযুক্ত হলেন কিভাবে? প্রশ্ন উঠছে, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরাই হাতে কলমে কাজের পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হলেন কিভাবে? অ্যাপটিচিউড টেস্ট হয়ে থাকলে প্রশিক্ষণবিহীনদের এমন আধিক্য কিসের? 

 

এই মামলার রায় হয়েছে প্রশিক্ষণবিহীন অন্য পরীক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে। আদালতে তাঁরা জানিয়েছিলেন যে যোগ্যতায় এগিয়ে না থেকেও অন্যরা চাকরি পেয়েছে।

প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় এর আগে সুপ্রিম কোর্টেও পর্ষদ স্বীকার করেছে যে বেনিয়ম হয়েছে। 

বিচারপতি গাঙ্গুলি চার তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করতে বলেছে পর্ষদকে। আগামী চার মাস প্যারা টিচারদের হারে বেতন দেওয়া হবে বাতিল ৩৬ হাজারকে। নিযুক্তির নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে আবেদন করা যাবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। 

Comments :0

Login to leave a comment