মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে কখন যাবেন পরিদর্শকরা আগাম জেনে যেত কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হতো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে। কখনও আবার জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন থেকেও আগাম পাচার হয়ে যেত গোপন তথ্য।
অন্তত ছয় রাজ্য জুড়ে চালু বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এমন মারাত্মক তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। এই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি দেশে এত বড় মাপের মেডিক্যাল কেলেঙ্কারির খোঁজ আগে মেলেনি।
ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং কর্ণাটকের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
সিবিআই এই তদন্তে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের নামে দায়ের করেছে এফআইআর। তার মধ্যে রয়েছে ইউজিসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডিপি সিংয়ের নাম। তিনি এখন টিআইএসএস’র চ্যান্সেলর পদে আসীন। স্বঘোষিত ধর্মগুরু রায়তপুরা সরকার থেকে ইন্দোরের ইনডেক্স মেডিক্যাল কলেজের সুরেশ সিং ভাদোরিয়ার নাম রয়েছে এই তালিকায়।
তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে পরিদর্শকরা যাওয়ার আগে নকল ডাক্তার, ভুয়ে শিক্ষক, ভুয়ো রোগী সাজিয়ে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। তথ্য আদান প্রদানে দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। নেওয়া হয়েছে হাওয়ালার রাস্তা। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। আবার এরাই মোটা টাকার বিনিময়ে ছাত্রও ভর্তি করেছে বিভিন্ন কোটায়।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু রায়তপুরা সরকার পরিচিত রাজনীতিবিদদের উঁচু স্তরে। সিবিআই’র অভিযোগ, সরকারি বহু আধিকারিকের সঙ্গেও ওঠাবসা তাঁর। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে রায়তপুরা মেডিক্যাল সায়েন্সেজ অ্যান্ড রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত ছয়জন ধরা পড়ে সিবিআই’র জালে। সাজানো রিপোর্ট লেখার জন্য দেওয়া হয়েছিল ৫৫ লক্ষ টাকা। এই ছয়জনের মদ্যে তিন চিকিৎসকও ছিলেন।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসীন হোয়ার পর দেশে হু-হু করে বাড়ছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ করে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে টাকার বিনিময়ে ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে ন্যূনতম পরিকাঠামো ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগও।
Medical Scam
গোপন তথ্য পাচার মন্ত্রক থেকে, ফাঁস মেডিক্যাল কেলেঙ্কারির তদন্তে

×
Comments :0