MANIPUR FIRING

ফের সংঘর্ষ মণিপুরে, নিহত ২, আহত অন্তত ৫০

জাতীয়

Armed Conflict in Manipur Leaves 2 Dead

ফের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলি চলল মণিপুরে। আটকানো হলো নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়। দু’বার গুলির সংঘর্ষে অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। বিরোধ আটকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোঁড়া টিয়ার গ্যাসের শেলেও আহত হয়েছে বহু মানুষ। উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছেন মহিলারা। 

শুক্রবার সকালে তেঙ্গনৌপলের পাল্লেলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াই হয়। ২ জন নিহত হন, ৫০ জন আহত। আহতদের চারজন বুলেটবিদ্ধ। গুলিতে আহত একজনকে কাকচিঙ জীবন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় ইম্ফলে পাঠানো হয়। তাঁর অবস্থাও গুরুতর। 

মণিপুরে কুকি ও মেইতেই, দুই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু দেড়শো ছাড়িয়েছে। 

গুলিচালনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই থৌবল এবং কাকচিঙ থেকে দলে দলে লোক পাল্লেলের দিকে রওনা হয় বদলা নিতে। তাদের আটকাতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে আসাম রাইফেলস। টিয়ার গ্যাসের শেলে আহত হয়েছেন বহু। তার মধ্যে অন্তত ৪৫ জন মহিলা রয়েছেন। 

এর মধ্যেই ইম্ফল থেকে র‌্যাফ জওয়ানদের একটি দল রওনা হয় থৌবলের দিকে। এই বাহিনীর রাস্তা আটকায় জনতা। পরিস্থিতি যথেষ্ঠ ঘোরালো। উত্তেজনাও রয়েছে। 

গত বুধবারই বিষ্ণুপুর জেলায় একদফা সংঘর্ষ হয়েছে। বাহিনীর অবরোধ ভেঙে চুড়াচন্দ্রপুর জেলার দিকে এগতে চাইছিলেন বিষ্ণুপুর জেলার একাংশ। তাঁদের থামাতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছিল বাহিনীকে। কুকি প্রধান এলাকা চুড়াচাঁদপুরের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের মতে মেইতেই প্রধান এলাকা থেকে আলাদা রাখতে বিশাল ব্যারিকেড করতে হয়েছে সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে। মাঝে তৈরি করতে হয়েছে চাপ মোকাবিলার জন্য ফাঁকা এলাকা বা ‘বাফার জোন’। 

মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ ফের গুরুতর চেহারা নিয়েছে মণিপুরে। মেইতেই প্রধান জেলাগুলি থেকে মিছিল বের হচ্ছে চুড়াচন্দ্রপুরের দিকে। সেই মিছিলের দাবি কুকি প্রধান এলাকা থেকে উচ্ছেদ হয়ে চলে আসতে হয়েছে তাঁদের। 

কুকি ও মেইতেই সংঘর্ষে সংখ্যাগুরু মেইতেইদের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে। ৩ মে থেকে সংঘর্ষে ১৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। 

 

Comments :0

Login to leave a comment