আবাসিক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে জলপাইগুড়ি কোরক হোমে পৌঁছে গেলো সিবিআই। বুধবার সিবিআই’র আধিকারিকরা হোমে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
জলপাইগুড়ির জুভেনাইল চাইল্ড কোরক হোমে গত ১৫ ডিসেম্বর বিচারাধীন কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
মঙ্গলবারই বন্দি অবস্থায় মৃত কিশোর লাবু ইসলামের বাড়ি যায় সিবিআই’র দল। কোচবিহারে কিশোরের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে। কিশোরের মা সংবাদমাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ মোটা টাকা চেয়েছিল। মায়ের অভিযোগ, নিয়মিত মারধর চলত লাবুর ওপর। অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। উলটে মাদক পাচারের মামলা দেওয়া হয়।
গলায় ফাঁস লাগলো অবস্থায় লাবু ইসলামের দেহ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তদন্তে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী অফিসারকে। এরই মধ্যে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন জানায় মৃত লাবু ইসলামের পরিবার। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ।
ওই কিশোরের দেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্তে নেমে কোতোয়ালি থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে, অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই।
Comments :0