চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে নেমেছে। পরদিন স্কুলে গিয়ে সব ছাত্ররাই তা নিয়ে আলোচনায় মগ্ন। এর মধ্যেই এক শিক্ষিকা বেছে বেছে মুসলিম ছাত্রদের দাঁড় করালেন। বলতে শুরু করলেন, ‘এ দেশে তোমাদের দরকার কী। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে চলে যায়নি কেন তোমাদের পরিবার।’
মুজফ্ফরনগরের পর ক্লাসঘরে বিদ্বেষের আরেক ছবি দিল্লির গান্ধী নগরে। সর্বেদয় বাল বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এমন কথা শুনিয়েছেন শিক্ষিকা হেমা গুলাটি। একেবারে উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগরের শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগীর মতো মনোভাব।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন যে বৃত্তান্ত জানার পর স্কুলে গিয়েই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ কান দেয়নি। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘‘এমন শিক্ষক কোনও স্কুলে পড়ানোরই যোগ্য নন। যেখানেই পাঠানো হোক এমনই বলবেন। স্কুলে এমন চললে এরপর তো নিচু ক্লাসেও এমন কথাবার্তা হবে।’’
মুজফ্ফরনগরে ছাত্রদের ক্লাসঘরেই মুসলিম ছাত্রকে মারতে বলেছিলেন তৃপ্তা ত্যাগী। ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আবার বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। এমন চললে পড়ানো সমস্যার। ঘটনাটি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
দিল্লির স্কুলে অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা হেমা গুলাটি তাঁরই ছাত্রদের বলেছেন যে মুসলিমদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও ভূমিকাই নেই। দেশভাগের সময় এরা পাকিস্তানে যায়নি। দেশের জন্যও কোনও অবদান নেই। তারপর মুসলিম ছাত্রদের বলেছেন ‘তোমরা পাকিস্তানে চলে যাচ্ছ না কেন।’
বিদ্বেষের রাজনীতি যে বিছিন্ন ঘটনা নয়, ক্লাসঘরেও বাসা বেঁধেছে, স্পষ্ট বোঝাচ্ছে পরপর ঘটনা। মক্কায় ইসলাম ধর্মস্থান নিয়ে অমর্যাদাকর মন্তব্য করেছেন ওই শিক্ষিকা, অভিযোহ অভিভাবকদের।
Comments :0