গাজায় ইজরায়েলি বিমান হামলা ও ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে গুলিবর্ষণে ৫২ প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে। গাজা অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। প্যালেস্তিনীও হাসপাতালের এক আধিকারিক এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা শনিবার জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় চার শিশুসহ কমপক্ষে ২৮ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন এবং আরও ২৪ জন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শিশু এবং দুই মহিলা রয়েছেন। নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইজরায়েলি বিমান হামলায় আরও পনেরো জন নিহত হয়েছেন।
অসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সংবাদ সংস্থার অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে কোনও উত্তর দেয়নি সেনাবাহিনী। ইজরায়েলি-সমর্থিত একটি আমেরিকান সংস্থার দ্বারা পরিচালিত রাফাহর কাছে একটি খাদ্য বিতরণ স্থানে যাওয়ার পথে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত ব্যক্তিসহ হাসপাতালের আধিকারিক এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা এই খবর জানিয়েছেন।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, সন্দেহজনক মানুষ যাতে কাছে না আসে, সেজন্য তারা তাদের দিকে সতর্কীকরণ গুলি ছুঁড়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে, এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর তাদের জানা নেই।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের আক্রমণের ফলে ইজরায়েলের আক্রমণাত্মক অভিযানে ৫৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন, তাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে।
গাজার বিভিন্ন অংশে খাদ্যের হাহাকার অব্যাহত। অসহায় প্যালেস্তিনীয়রা খাদ্য, পানীয় জল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য জীবন বিপন্ন করেও ত্রাণ নিতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী মুওয়াশি অঞ্চলে পরিস্থিতি দুর্বিষহ। বর্তমানে হাজারো গৃহহীন প্যালেস্তিনীয় এই এলাকাতে অস্থায়ী তাঁবুতে রয়েছেন। আবের আল-নাজ্জার বলেন, লাগাতার বোমাবর্ষণের মাঝে পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার জোগাড় করতে তাঁকে প্রচণ্ড সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। সেকানেও চলছে গুলি বর্ষণ। প্রাণ হারাচ্ছেন মহিলা শিশুসহ হাজার হাজার প্যালেস্তিনীয়।
Comments :0