CONGRESS DONATION

‘ইন্ডিয়া’ বৈঠকের ঠিক আগে অর্থসংগ্রহে নামল কংগ্রেস

জাতীয়

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়গে। ছবি সংগ্রহ থেকে।

‘ডোনেট ফর দেশ’, দেশের জন্য দান করুন। এই স্লোগানেই জনতার থেকে অর্থসংগ্রহের প্রচারে নামল কংগ্রেস। 
মঙ্গলবার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক। তার ঠিক আগেরদিন, সোমবার ‘ক্রাউডফান্ডিং’ বা জনতার থেকে অর্থসংগ্রহের প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। 
খাড়গে জনতার উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘‘সমানে বাড়ছে বেকারি। বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি। লড়াই তার বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ে আপনিও যুক্ত হন।’’
গোপন নির্বাচনী বন্ডে রাজনৈতিক দলগুলিকে সহায়তা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। আগে মোটা অর্থ দান করলে নির্বাচন কমিশন দাতার নাম জানত। সেই ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে কর্পোরেট অনুদানের স্বার্থে, এই মর্মে সরব বিরোধীরা। নির্বাচনী বন্ডের সিংহভাগ অর্থ জমা পড়ছে বিজেপি’র তহবিলেই। এক রাজ্যে সরকার চালিয়েও চোখ ধাঁধানো অনুদান জমা পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাণ্ডারে। 
কংগ্রেস সচরাচর কনতার থেকে অর্থ সংগ্রহে নামে না । খাড়গে নিজে তা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সম্ভবত এই প্রথম কংগ্রেস জনতার থেকে অর্থ সংগ্রহে নামছে। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ অ্যাপ। এই প্রচারে সাধারণ মানুষের থেকে ছোট অঙ্কের অনুদান গ্রহণ করবে কংগ্রেস।’’ 
খাড়গে কর্পোরেটের অর্থ সহায়তায় নির্বাচনের প্রসঙ্গও তুলেছেন বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘‘কেবল ধনীদের ওপর ভরসা করে রাজনৈতিক দলকে চলতে হয় তা’হলে ধনীদের পছন্দের নীতি মেনে নিয়েই চলতে হবে। কংগ্রেস বরাবর সব অংশের মানুষের সহায়তা পেয়েছে।’’
কংগ্রেস প্রচারে বলেছে, ‘‘জনসাধারণের থেকে অর্থ নেওয়ার মানে জনসাধারণের পক্ষে, প্রান্তিকতম অংশের পক্ষে লড়াইয়ের দায়বদ্ধতা গ্রহণ করা। নজিরবিহীন বেকারি আর মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব অংশকে জড়িয়ে নেওয়ার জন্য সহয়তার এই আহ্বান।’’
খাড়গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাও। তাঁর বেতন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা এই তহবিলে দান করেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে হারের ধাক্কা কাটাতে একাধিক পরিকল্পনা দ্রুত নিতে চাইছে কংগ্রেস। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের বৈঠকের পর ২১ তারিক দিল্লিতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর দলের ১৩৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে আরএসএস’র সদর দপ্তর নাগপুরে। অভ্যন্তরীণ রদবদল শুরু হয়েছে মধ্য প্রদেশে সভাপতি পদে কমল নাথকে সরিয়ে জিতু তিওয়ারিকে দায়িত্ব দিয়ে। দ্রুত জনতার কাছে সরাসরি পৌঁছানোর চেষ্টাতেই রীতি ভেঙে অর্থসংগ্রহের এই পরিকল্পনা।

Comments :0

Login to leave a comment