রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লাকে দেওয়া চিঠিতে জেডিইউ’র পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২২ সালের নির্বাচনে জেডিইউ মণিপুরে ছয়টি আসনে জয়ী হয়। জয়ী সদস্যদের মধ্যে পাঁচজন বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন তারা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকারের ওপর তারা সমর্থন প্রত্যাহার করছে মণিপুরে। জেডিইউর যেই একজন বিধায়ক রয়েছেন তিনি বিরোধী আসনে বসবেন।
মণিপুরে সমর্থন করার পর জাতীয় রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। চলতি বছর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে হঠাৎ করে উত্তর-পূর্বের একটি রাজ্যের বিজেপি সরকারের ওপর থেকে নীতিশের সমর্থন প্রত্যাহার নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং কংগ্রেসকে সাথে নিয়ে বিহারে বিজেপিকে আটকে দিয়েছি;ল নীতিশ। তৈরি হয়েছিল জোট সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা ভেঙে যায়। যদিও মণিপুরে নীতিশের সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া মঞ্চ যখন তৈরি হয় সেই সময় জেডিইউ ইন্ডিয়া মঞ্চের অংশ ছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগেই নীতিশ কুমার পাল্টি খেয়ে এনডিএ শিবিরে নাম লেখায়। লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানো বিজেপি নীতিশের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইুডর টিডিপির ওপর ভর করে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।
মণিপুরের জাতি হিংসাকে কেন্দ্র করে চাপে রয়েছে সেই রাজ্যের বিজেপি সরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিংহ জাতি হিংসার কথা ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু মিতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর হিংসা নিয়ে এখনও কোন কথা নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে।
তবে জেডিইউ সমর্থন প্রত্যাহার করলেও রাজ্যের বিজেপি সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাচ্ছে না।
Comments :0