HAMAS ISRAEL

কড়া মোকাবিলা ইজরায়েলি সেনাকে, দাবি হামাসের

আন্তর্জাতিক

গাজায় বসতি এলাকায় বোমাবর্ষণের পর।

গাজার প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়ার দাবি জানিয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বুধবারই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে হামাস। বেইরুট থেকে হামাসের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন যে গাজার মাটিতে সামরিক অভিযান চালিয়ে মোটেই লাভ হয়নি ইজরায়েলের। 

হামাসের মুখপাত্র গাজি হামাদ বলেছেন, ‘‘ইজরায়েলের সেনা কখনও সত্যি কথা বলে না। ওদের বহু সেনা পালটা আক্রমণের মুখে মারা গিয়েছে। বহু ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে।’’

ইজরায়েল খুব কম সময়ের নোটিসে গাজার বাসিন্দাদের উত্তর থেকে দক্ষিণে সরে যেতে বলছে। মর্মান্তিক পরিস্থিতি গাজার রাস্তায়। খাবার নেই, হাসপাতাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ওষুধ নেই, বিদ্যুৎ নেই, এমনকি জলও মিলছে বহু কষ্টে। 

তার মধ্যেই হামাদ বলেছেন, ‘‘প্যালেস্তাইনের মানুষ বরাবর লড়াই করে। লড়াই করতে অভ্যস্ত তারা। এই লড়াই চলবে।’’

কেবল গাজা নয় অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও দখলদারি চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। স্বাধীন প্যালেস্তাইনের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম মুখ আহেদ তামিমিকে রামাল্লায় তাঁর ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের দাবি, হামাসের একাধিক শীর্ষ কার্যকর্তাকে হত্যা করতে পেরেছে ইজরায়েলের সেনা। কিন্তু হামাস মুখপাত্র সেই দাবি উড়িয়েছেন। 

ইজরায়েলের বিমান হামলায় মারা যাচ্ছেন বিদেশ থেকে আসা ত্রাণ কর্মী এবং চিকিৎসকরাও। ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার’ জানিয়েছে তাঁদের একাধিক কর্মী মারা গিয়েছেন। শাতি উদ্বাস্তু শিবিরে ছিলেন তাঁরা। ৬ নভেম্বর এই উদ্বাস্তু শিবিরে বোমা ফেলে ইজরায়েল। 

গাজায় হামাস পরিচালিত প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে ১০ হাজার ৩০০ প্যালেস্তেনীয় মারা গিয়েছেন। রয়েছে ৪ হাজার ২০০ শিশু। তবে আল জাজিরা সংবাদগোষ্ঠীর হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৬৯। 

ইজরায়েল অভিযোগ তুলেছে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ রয়েছে। সেই পথে যাতায়াত করছে হামাসের সশস্ত্র বাহিনী। হাসপাতালে বোমাবর্ষণের এমনই যুক্তি হাজার করছে আন্তর্জাতিক স্তরে। আল জাজিরার একটি দল কাতারি হাসপাতালে ঘুরে এসে জানিয়েছে এমন অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। 

লেবানন সীমান্তে ইজরায়েলের দুই সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।    

Comments :0

Login to leave a comment