সিকিমের পাহাড়ে বৃষ্টি অব্যাহত। নতুন করে সিকিমের কিছু জায়গায় ধসের পাশাপাশি ধস বিধ্বস্থ লাচুংয়ের যাতায়াত ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয় নি বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন। একই সঙ্গে ধস প্রবন এলাকার বাড়িঘরে রাত কাটাতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারি বৃষ্টি হলে ফের বিপর্যয় হতে পারে। সেদিকে সেনাবাহিনী কড়া নজর রাখছে।
নর্থ ও সাউথ সিকিমের পাশাপাশি পূর্ব সিকিম থেকেও আসছে ধসের খবর। তবে প্রাণহানির কোন খবর নেই। পূর্ব সিকিমের পাখিম জেলার রঙপো রেনোক এবং পখরিবঙ বিমান বন্দরের দিকে যে রাস্তাটি ধরে গাড়ি চলাচল করে সেই রাস্তাতেই একের পর এক ধস নেমেছে। বৃষ্টি না কমলে আরো বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ধসে বিধ্বস্ত সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের সবাইকে ইতোমধ্যেই নামিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন।
তিস্তার জলস্ফীতি এতোটাই যে কালিম্পঙ—দার্জিলিঙের রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পেশকের রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে। বৃহস্পতিবারও কালিম্পঙে ও দার্জিলিঙের মধ্যে তিস্তাবাজার—পেশক—জোড়বাংলো রোড বন্ধ ছিলো। পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে কালিম্পঙে জেলা প্রশাসন। প্রবল বর্ষণে ফের জেলা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দার্জিলিঙ—কালিম্পঙ সড়ক। জলস্ফীতি এতোটাই ঘটেছে যে কোন মুহুর্ত্বে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে জলমগ্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলা—সিকিম লাইফলাইন এখনও পর্যন্ত চালু থাকলেও, দুর্ঘটনা এড়াতে এই রাস্তায় বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। ১০নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে অত্যন্ত ধীর গতিতে যান চলাচল অব্যাহত।
সিকিমে বুধবার রাতভর বৃষ্টির জেরে তিস্তা ফুঁসছে। জলস্তর নামার কোন লক্ষন নেই। এদিকে তিস্তাবাজারের দেওগ্রামের বাসিন্দারা তিস্তায় একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খরস্রোতা তিস্তা থেকে দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা তুফানগঞ্জেও। দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা গদাধর নদীর জলে প্লাবিত। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে সাথে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে গতধর নদীর জলস্ফীতি ঘটে। ফলে প্লাবিত হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। গ্রাম পঞ্চায়েতের উওর বালাঘাট, মধ্য বালাঘাট, কুড়শা মারি, দেওচড়াই, চ্যাংমারি, সন্তোষপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় কোথাও গণধর নদীর জল আবার কোথাও কালচারী নদীর জল প্রবেশ করে প্লাবিত করে তুলেছে। বাড়িতে জল ঢুকে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। আবার কোথাও রাস্তার উপর দিয়েই বইছে জল। দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরবালাঘাট এবং মধ্য বালাঘাট মিলে বেশ কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে। অপরদিকে কুরশামারি এলাকায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি বাড়ি জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়। কিন্তু দিনের বেলায় রাস্তায় থাকলেও রাতের বেলায় কোথায় থাকবেন ছিনতাই রয়েছেন তারা।
Sikkim Landslide
নতুন করে ফের ধস সিকিমে, ডুবতে পারে জাতীয় সড়কে
×
Comments :0