Mahua Moitra

ভয় দেখিয়ে বয়ান লেখানোর অভিযোগ সাংসদ মৈত্রের, তৃণমূল চুপ

জাতীয়

ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে বন্দুকের মুখে রেখে হলফনামা লেখানো হয়েছে। পিএমও অফিস থেকে লেখা বয়ানে সই করতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে। 

এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেছেন, আদানির বিরুদ্ধে আমার মুখ বন্ধ করার জন্য মাত্র কুড়ি মিনিট সময় দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে সই করে দিতে বলা হয়েছিল ঐ বয়ানে। দর্শন হীরানন্দানি এবং তাঁর বাবার দেশজোড়া বিরাট ব্যবসা লাটে তুলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সই করানো হয়েছে। 

টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার যে অভিযোগ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা এখন সংসদের এথিক্স কমিটির বিচারাধীন, যার প্রধান বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকার। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের দায়ের করা অভিযোগের তদন্তে হাতিয়ার করা হচ্ছে ব্যবসায়ী হীরানন্দানির হলফনামাকে। কিন্তু সেই হলফনামা নিয়েই পদ্ধতিগত প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মৈত্র। 

মৈত্র  বলেছেন, কেন হীরানন্দানি প্রেস কনফারেন্স করে তাঁর বয়ান প্রকাশ করলেন না? কী হয়েছিল যার জন্য তাঁকে দুবাই থেকে মুম্বাইতে এসে বৃহস্পতিবার প্রথমে একটি নোটারি না করা বয়ানে সই করে দিতে হলো? সঙ্গে সঙ্গে সেটা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হলো, এবং তারপরে হীরানন্দানি দুবাইতে চলে যাওয়ার পরে শুক্রবার সেই বয়ানেরই নোটারি ভার্সন করিয়ে হলফনামা হিসাবে দেওয়া হলো। কেন? 

তৃণমূলের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও মহুয়া মৈত্রের পাশে এখন তৃণমূল নেই। মমতা ব্যানার্জি অভিষেক ব্যানার্জি তাঁর পাশ থেকে সরে গেছেন। কারণ মহুয়া মৈত্র আদানিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয়, আদানিদেরও কর্পোরেট রোষানলে পড়েছেন। তাই একাই ব্যাট করতে হচ্ছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। 

মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন, দর্শন হীরানন্দানি এবং তাঁর বাবার বিরাট ব্যবসা। তাঁর বাবার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা, দর্শনের এনার্জি, সেমিকন্ডাকটর চিপস, ডেটা সেন্টার ইত্যাদির ব্যবসা। শুধু উত্তর প্রদেশেই তাঁদের ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে।

 সংসদের এথিক্স কমিটির কার্যসূচীর কোনো বয়ান সংসদে জমা করে প্রকাশ্যে আনা ছাড়া বাইরে প্রচার করা যায় না। তা সত্ত্বেও কেন কী উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, এই প্রশ্নও তুলেছেন মহুয়া মৈত্র।

Comments :0

Login to leave a comment