শিক্ষা, সংস্কৃতি সঙ্কটাপন্ন। বর্তমান ছাত্র-যুবদের কাজ সঙ্কটাপন্ন শিক্ষা, সংস্কৃতিকে মুক্ত করার লড়াই চালানো। শনিবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে এসএফআই’র প্রাক্তন নেতা কমরেড মানব মুখার্জি, কমরেড সুব্রত মুখোটি ও কমরেড অনির্বাণ হাজরার স্মরণসভায় একথা বলেছেন এসএফআই’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বিমান বসু।
তিনি বলেছেন, স্মরণসভা করে আমরা প্রয়াত নেতাদের আদর্শ, লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে স্মরণ করার চেষ্টা করি। তাঁদের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা নিয়ে আগামীদিনে লড়াইকে আরো মজবুত করার শপথ নিতে হবে।
এসএফআই’র আহ্বানে এদিনের স্মরণসভায় ছাত্র-যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, যে সময়ে সুব্রত মুখোটি, মানব মুখার্জি, অনির্বাণ হাজরারা লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, এসএফআই’র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, প্রয়াত তিন নেতা একেক সময়ের একেক লড়াইয়ের সৈনিক। সুব্রত মুখোটি সাতের দশকের ছাত্রনেতা। সেই সময় রাজ্যজুড়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা। শিক্ষা লাটে উঠেছে, রাজ্যজুড়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস চলছে। আবার মানব মুখার্জিরা যখন ছাত্র আন্দোলন করছেন, তখন বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটেছে। অনির্বাণ হাজরা যখন ছাত্র আন্দোলন করছেন, তখন রাজ্যের পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। বামপন্থীরা খুন হচ্ছেন, ক্যাম্পাসগুলি রক্তাক্ত হচ্ছে।
আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন তিন নেতাই।
এই স্মরণসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসএফআই’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস, এসএফআই নেতা দীপ্তজিৎ দাস, এসএফআই’র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কৌস্তভ চ্যাটার্জি, রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র।
কমরেড সুব্রত মুখোটি, কমরেড মানব মুখার্জি ও কমরেড অনির্বাণ হাজরার স্মরণে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন ঋজুরেখ দাশগুপ্ত, সাদাত হাসান ও শুভজিৎ সরকার। স্মরণসভা পরিচালনা করেন প্রতীক উর রহমান, নবনীতা চক্রবর্তী ও অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমন্ডলী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রুতি পাল ও বিশ্বজিৎ নায়েক।
Comments :0