বছর ধরে অফিসের সকলের চা জল খাবার দুপুরে পেটের ভাত জুগিয়ে নিজের ঘরে ভাতের অভাবে পরেছেন ফুটপাতের হোটেল ব্যবসায়ী। বকেয়া মিলের পরিমাণ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। টাকা চেয়ে দিনের পর দিন হন্যে হয়ে ঘুরেছেন বিডিও এবং অফিসের বড় বাবুর কাছে। বকেয়া টাকা তো মেলেই নি উপরন্ত জুটেছে মিথ্যা আশ্বাস, বাঁকা কথা। ফুটপাতের দোকান দারের এই বিপুল পরিমান টাকা বকেয়া থাকায় নিজের পরিবারের আর্থিকদিক থেকে ভেঙে গুরিয়ে গেছে। তাই নিতান্ত নিরুপায় হয়ে আত্মহননের পথ নিতে বাধ্য হলেন গৌতম দাস। বুধবার বিকালে শেষ বারের মত ময়নাগুড়ি ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন বকেয়া বিলের টাকা চাইতে।
কিন্তু নিরাশ হয়ে আর বাড়ি যেতে চাননি। তাই সাথে নিয়ে এসেছিলেন বিষাক্ত কিছু ট্যাবলেট। সব টাই একবারে খেয়ে নিলেন বিডিওর চেম্বারের সামনে। অফিসের কর্মীদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন ওই ব্যাক্তি। এর পরেই অফিসের অনান্য কর্মীরা দ্রুত ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর স্ত্রী কে খবর দেন। সেখানে থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই সংবাদ লেখার সময়েও আই সিসিইউ তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ওই হোটেল ব্যবসায়ী।
ময়নাগুড়ির স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে জানা গেছে গৌতম দাস এদিন বিডিও অফিসে যাবার আগে একটি সুসাইড নোট লিখে যান। বিডিও অফিসের পাশেই ফুটপাতে পলিথিন লাগিয়ে হোটেল চালাতেন গৌতম দাস। অফিসে বিভিন্ন সময়ে খাবার সরবরাহ করতেন। সুই সাইড নোটে গৌতম দাস পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করেছেন বিডিও অনেক সরকারি অর্থ অপচয় করেন অথচ তার হকের ন্যায্য টাকা না দিয়ে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
Comments :0