ILLIGAL CONSTRUCTION IN FOREST

জঙ্গলের জমিতে দোতলা বাড়ি! ভাঙা হলো নির্মাণ

জেলা

ILLIGAL CONSTRUCTION IN FOREST জলপাইগুড়ি বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্টে অবৈধ নির্মাণ ভাঙল বন দপ্তর।

দীপশুভ্র সান্যাল 

উত্তরবঙ্গে অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে প্রতিদিন। বন সংলগ্ন বিভিন্ন বনবস্তিতে গজিয়ে উঠেছে হোম-স্টে’র নাম করে রিসর্ট। আক্রান্ত হচ্ছে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র। আক্রান্ত বনাঞ্চলে বাসিন্দাদের জীবিকাও। এবার সামনে এল মারাত্মক ঘটনা। জঙ্গলের জমিতে বনের  মধ্যে তৈরি হয়েছে দোতলা বাড়ি। 

চারদিকে পশু পাখির আনাগোনা। আর সেই এলাকায় এভাবে রীতিমতো পাকা বাড়ি গজিয়ে ওঠায় আপত্তি ছিল বন দপ্তরের। এভাবে বাড়ি করা আইনে নিষিদ্ধও। কিন্তু সব নিষেধ অমান্য করে একতলা থেকে দোতলা বাড়ি করা হয়েছে। 

 

প্রথমেই বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। পরে আবার তৈরি করা হয় বাড়িটি। শেষ পর্যন্ত সরকারিভাবে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু এই নোটিস পাঠানোর পরও নির্মাণ ভাঙেননি বাড়ির মালিক। এবার বাধ্য হয়েই বন দপ্তরের কর্মীরা শিলিগুড়ি লাগোয়া ফারাবাড়ী নেপালি বস্তিতে হাজির হন। 

শুক্রবার সকালেই বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের পক্ষ থেকে এই অভিযান করা হয়। বন দপ্তরের বিশাল বাহিনী পৌঁছায় সেখানে। সঙ্গে ছিল পুলিশ। এরপর ওই অবৈধ নির্মাণ দোতলা বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির মালিক ধন বাহাদুর ছেত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

বন দপ্তর জানিয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে এভাবে বাড়ি করা যায় না। রীতিমতো দোতলা পাকা বাড়ি করা হয়েছিল। তাই বাড়িটা ‘আর্থ মুভার’ লাগিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। 

বন দপ্তরের পক্ষে এক আধিকারিক জানান, এভাবে অবৈধ নির্মাণ করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি আরও যে অবৈধ নির্মাণগুলি আছে সেগুলিও ভাঙা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। 

 

Comments :0

Login to leave a comment