SANDESHKHALI SALIM

নিরাপদকে নিয়ে সন্দেশখালিতে যাব, বললেন সেলিম

রাজ্য

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম।

সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে যুব নেতৃবৃন্দ। পুলিশকে জানিয়ে এসেছে জনতার অভিযোগ। ফের ২৯ তারিখ সন্দেশখালিতে যাবেন তাঁরা। ওই দিনই সন্দেশখালিতে যাবেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। 
রবিবার সেলিম বলেছেন, ‘‘সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে ২৯ তারিখ সন্দেশখালি যাব আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে।’’
সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেপ্তার করে রেখেছে পুলিশ। সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি বসিরহাট আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে। 
এদিন কলকাতায় সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘গতকাল সাহসের সঙ্গে ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুলিশ নির্লজ্জভাবে বাধা দিয়েছিলে। কিন্তু যুব নেতৃবৃন্দ পুলিশের চোখে চোখ রেখে ৪ দিন সময় দিয়ে এসেছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ২৩ মহিলার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে পুলিশকে। জানিয়ে এসেছে ব্যবস্থা না হলে হাইকোর্টে যাওয়া হবে।’’
শনিবার বসিরহাটের এসপি’কে লিখিত অভিযোগ জমা দেন যুব নেতৃবৃন্দ। সকালে পুলিশের নজর এড়িয়ে ঢুকে পড়েছিলেন গ্রামে। পরে পুলিশ বাধা দেয়। তার আগেই গ্রামে গ্রামে কথা বলেছেন মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ যুব নেতৃবৃন্দ। ২মার্চ বসিরহাটে এসপি’র দপ্তরে অভিযানেরও ঘোষণা করেছে ডিওয়াইএফআই। 
১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেডের ডাক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘মুরোদ থাকলে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার না করে সরকারি গাড়ি আর কাটমানি টাকা ছাড়া জমায়েত করে দেখাক। ব্রিগেড কেন শহীদ মিনারও ভরাতে পারবে না।’’
সন্দেশখালি ঘিরে বিজেপি’র বিভাজনের প্রচারকে তীব্র আক্রমণ করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু-মুসলিম করে দেখাচ্ছে বিজেপি। অপরাধীদের রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি বলছে। আসলে তো অপরাধীরা তৃণমূল। বিজেপি তৃণমূলকে আড়াল করতে চাইছে।’’
এই প্রসঙ্গেই সেলিম তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির প্রসঙ্গে তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘অভিষেককে এখন ইডি ডাকে না। দিল্লিতে গিয়েও সংসদ অধিবেশনে যাননি, আরএসএস নেতাদের আশ্রয়ে ছিলেন। মোদীও আর ডাকেননি।’’

Comments :0

Login to leave a comment