East Bengal

উন্নতি হচ্ছে, বলছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ

খেলা

East Bengal cooch

ডার্বির হারের পর যে কোনও কোচের চোখেমুখে চাপের ছাপ থাকবে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের ক্ষেত্রে এসবের কোনও বালাই নেই। অভিজ্ঞ বলেই চাপ শব্দটা তাঁর অভিধানে নেই। খোশমেজাজে আছেন। হেসে হেসে রসিকতার ছলে সাংবাদিকদের বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। 
শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের সামনে চেন্নাইন এফসি। আইএসএলে লাল হলুদের পঞ্চম ম্যাচ। চার ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ বাকি তিনটি হার। চেন্নাইনও যে খুব একটা ভালো জায়গায় রয়েছে, তা কিন্তু নয়। তাঁরাও প্রথম ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানকে হারানোর পর পরের দু’ম্যাচে জয়হীন। ইস্টবেঙ্গলের মতোই শেষ ম্যাচে ০-২ গোলে হেরেছে দু’বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা। লিগ তালিকায় ছ’নম্বরে থাকা দক্ষিণের দলটিকে সমীহ করছে ন’নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গল। তার একটা বড় কারণ, তিন সপ্তাহ আগে যুবভারতীতে এসে পিছিয়ে থেকেও এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল এই চেন্নাইন। সেজন্যই স্টিফেনের সোজাসাপটা জবাব, ‘যে দল কলকাতায় এসে মোহনবাগানকে হারিয়েছে, তাদের সমীহ করতেই হবে। চেন্নাইন খুব ভালো দল। ওদের দক্ষ সব ফুটবলাররা রয়েছে। আমরা প্রতিটি প্রতিপক্ষকেই সম্মান করি।’ ঘরের মাঠে চেন্নাইনের কাছে হার মানেই আরও পিছিয়ে পড়বে দল। মনোবল তলানিতে ঠেকবে। ইতিবাচক স্টিফেনের কথায়, ‘যাই হোক, আমরা তিন পয়েন্টের জন্য খেলবো।’ 
চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স বিচার করলে দেখা যাবে, একমাত্র নর্থ ইস্ট ম্যাচেই পুরো নব্বই মিনিট ভালো খেলার চেষ্টা করেছে। বাকি ম্যাচে কোনটায় প্রথমার্ধে, আবার কোনও ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে দলটা। গোটা ম্যাচে ভালো খেলতে না পারলে যে কোনও দলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়া মুশকিল। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ভালো খেলার আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি। বলছেন, ‘আশা করছি, এই ম্যাচেই দুই অর্ধে দাপট দেখাতে পারব। আমরা নতুন দল, গুছিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা উন্নতি করছি।’ 
এদিন স্টিফেনের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিডফিল্ডার জর্ডন ও ডোহার্টি। তিনি বলেছেন, ‘সবকিছুকে ইতিবাচক হিসাবে নিচ্ছি। ফুটবল খেলায় ভুল হতেই পারে। আমরা একটা দল হিসাবে উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’ এও জানিয়েছেন, মাঝমাঠে কিরিয়াকোর সঙ্গে জুটি উপভোগ করছেন। 
অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন চেন্নাইনে থাকা বাংলার ফুটবলাররা। বিশেষ করে গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তাঁকে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠতে। ম্যাচের দিন তিনি গোলের নিচে জ্বলে উঠলে সমস্যায় পড়বেন ক্লেইটন সিলভা, ভিপি সুহেররা। কেরালার সুহের এখনও অবধি গোলের খাতা খুলতে পারেননি। ডার্বিতে গোল পাননি ক্লেইটন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করার দায়িত্ব তাঁদের ঘাড়েই। 
স্ট্রাইকার রহিম আলিকে সামলাতে হবে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে। তিনি সুযোগসন্ধানী। ইভান গঞ্জালেজদের রক্ষণের ছোট্ট ভুলের সুযোগ নিয়ে নেবেন। নারায়ণ দাসের ক্রসগুলি বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতেই হবে লালচুংনুঙ্গাদের। স্টিফেনের মুখে নারায়ণ, দেবজিৎদের নামও শোনা গেল। তবে চেন্নাইন চোটের জন্য পাবে না কামে কারিকারির সার্ভিস। যা তাঁদের জন্য বড় ধাক্কা। এমনকি ফিট না হওয়ার জন্য খেলতে পারবেন না মহম্মদ রফিকও। এতে কিছুটা সুবিধে হলো ইস্টবেঙ্গলের। সুস্থ হয়ে অনুশীলন করেছেন অনিরুদ্ধ থাপা। খেলতে পারেন তিনি। চেন্নাইন কোচ টমাস ব্রাডিচ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কিছু মিনিট ডাচ ফুটবলার নাসের এল খায়াতিকে দেখে নিতে পারেন। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে গেলেন চেন্নাইনের জার্মান কোচ।

Comments :0

Login to leave a comment