RG KAR PROTEST

প্রমাণ জোগারের বদলে লোপাট করছে পুলিশ, মিছিলে বললেন ‘অভয়া’-র বাবা

রাজ্য কলকাতা

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে থেকে মিছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের।

অরিজিৎ মন্ডল 

অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের বিরুদ্ধে থ্রেট সিন্ডিকেটের অভিযোগ সত্ত্বেও কেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলো তার উত্তর চাইতেই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। 
শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে জুনিয়র চিকিৎসকরা ছাড়াও ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা এবং নাগরিকদের তৈরি ‘অভয়া মঞ্চ’-র প্রতিনিধিরা। 
মিছিলে যোগ দেন হন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা এবং মা। 
মিছিলে স্লোগান ওঠে 'দুর্নীতির আঁতুরঘর, স্বাস্থ্য দপ্তর সাফাই কর'। মিছিল করে জুনিয়র  চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবন যাবেন এবং তাঁদের ৫ জনের প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সাথে দেখা করবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নিজস্ব তদন্ত কমিটি অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করেছে তাহলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল কী ভাবে তাঁদের ফিরিয়ে আনলো এই প্রশ্ন বারবার তুলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা এবং নাগরিকদের তৈরি ‘অভয়া মঞ্চ’-র প্রতিনিধিরাও। সেই একই কথা বললেন নির্যাতিতার বাবা। 
তিনি বলেন, "আমার কথা হচ্ছে অন্য কোনও লোক নেই। সরকারের এত খারাপ অবস্থা। যারা অন্যায়ের সাথে যুক্ত তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি এর মধ্যে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত আছে।" 
তিনি আরও বলেন, "আমার মেয়ে তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই খুন হয়েছে। পুলিশ প্রথম থেকেও প্রচণ্ড গাফিলতি করেছে। আমার মেয়ের বিচারের জন্য যা যা করণীয় তা আমরা করবো। আজ ছাত্রছাত্রীদের(জুনিয়র চিকিৎসক) সাথে আমরা পুরো মিছিলে হাঁটবো। আমার বিশ্বাস আছে আমার মেয়ের খুনের তদন্ত যদি ঠিক করে হয় তাহলে দোষীরা শাস্তি পাবেই। 
প্রসঙ্গত, আজ জয়নগরের নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত মোস্তাকিন সরদারের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে বারুইপুর মহকুমা আদালত। সেই প্রসঙ্গে আরজি করের নির্যাতিত চিকিৎসক ছাত্রীর বাবা বলেন, "কুলতলির ঘটনায় ফাঁসির সাজা হওয়ার পর আমাদের সাহস বেড়ে গেলো। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ করতে গেলে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। সরকার সঠিক ভাবে কাজ করছে না। তথ্য প্রমাণ জোগার করার থেকে পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাট বেশি করেছে। আমরা প্রশাসন ও সিবিআইয়ের উপর চাপ তৈরি করব যাতে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে বিচার দেওয়া হয়।

Comments :0

Login to leave a comment