কবিতা | মুক্তধারা
মৃত রজনী
কৃত্তিকা ভট্টাচার্য্য
বিনিদ্র রজনীর অশ্রু বিন্দুও পথের শুষ্কতা মুছতে পারল না ,
পারলো না মায়ের কোলের শিশুকে কোলে ফিরিয়ে দিতে
পারলো না একটা মা কে বাঁচাতে তার যুবক পুত্রের ক্ষুধা দৃষ্টি থেকে
বিনিদ্র রজনী পারলো না গণতন্ত্রের ধ্বজা ওড়াতে,
তাই গণতন্ত্রের চাদরে লুকিয়ে স্বৈরাচারী আজ
হুংকার তুলছে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে,
তাই আমার তোমার মায়ের বোনের শরীর লোলুপ দৃষ্টি দিয়ে ধর্ষিত হচ্ছে অনবরত
তাই তো আরাধ্য প্রতিমাও আজ নিপীড়িতের দলে
চাদরে মুখ ঢেকে পথে ফিরছে, বিচারের আশায়
মায়ের বোনের নিরাপদ আশ্রয়ও আজ
নিরাপত্তা খুঁজে ফিরছে তোমার অগোচরে
এগারো বছরের ঈশ্বর তুল্য প্রতিমা
চোদ্দ বছরের বিকৃত ছাপ থেকে নিস্তার পায়নি,
সুরক্ষার মাপকাঠি সুতোর সূক্ষ্মতায় পরিমিত হয় বলেই
বিনিদ্র রজনী ব্যর্থ।
আজ ব্যর্থ মানবতা, কারণ সুরক্ষা ধর্মের কল থেকে বিতাড়িত বিধি
বিধি নিষেধ ঘেরাটোপেও পিসে পিষে ফেলছে তার নিজের তেরো বছরের ভাগ্নীকে
গিলে খাচ্ছে একাদশীর কিশোরীকে।
সমাজের বুকে দাড়িয়ে তাই ব্রজাঙ্গনা কটাক্ষের শিকার,
চোখের দৃষ্টিও আবৃত কোটরে।
নিস্তার নেই কারুর,
মায়ের গমনে যখন সবার চোখ ছলছল,
তখন কিছু পুরুষের চোখ মুছে ফেললো তার ধর্ম
ছিড়ে ফেলে দিল একটি প্রাণ
প্রতিষ্ঠা করলো নিথর নগ্নতা।
তোমার হুংকার ব্যর্থ কারণ তা শব্দহীন,
তোমার চিৎকারের রোল বহুরূপী শকারের শিকারে মৃত
তোমার বিনিদ্র রজনী আজ মনুষ্যত্বহীন মানুষের আসর জমায়
তোমার বিনিদ্র রজনী ফোনের স্ক্রিনে মিম দেখায়
আর কত কি বিষয়ের উৎস তোমার বিনিদ্র রজনী
তোমার বিনিদ্র রজনী কেবল তোমার সুবিচার নয়।।
Comments :0