কবিতা | নতুনপাতা
একটি প্রাগৈতিহাসিক কবিতা
সৌরভ দত্ত
নিরন্নতা ব্যথা দিল–
বলা হল না সমূহ পরাজয়
চেনা-অচেনা পারদের ভার
অথবা ভারহীন দু’হাত ভরে
তুলে আনা সময়ের থেঁতলানো ঘিলু
শ্রুশ্রূষার জাফরি কাটা আলো
তুমিও, পেতে চাও আহাম্মক…
ঝুঁটিলাল কাঠঠোকরার কথপোকথন
ভালো লাগলো না কিছুই
বিকেল ঘনিয়ে আসা নিলয় দুপুর
ধানখেতে শুয়ে ফাউন্টেন পেন
রোদ্দুর পিঠে বসে আছে খড়িবন,বন্ধুতার স্মৃতি
বয়োবৃদ্ধ বাবার ছায়া কেঁপে কেঁপে ওঠে
মুখ ঘোরায় হাওয়া–হল না আলাপ
পরিতাপহীন ছিটে বক কাদাজল ঘেঁটে ঠোঁটে
তুলে নিচ্ছে বাচ্চা কেঁচোকে…
শিকার আর শিকারি মানুষকে
রাস্তা ভিখারি হলে এভাবেই চেয়ে থাকে হাঁ করে
যেভাবে চেয়েছি তোমাকে লাজুক অক্ষরে
ভাঙাচোরা কার্নিশ, তিরস্কারের খোদাই দরজা
নকল ব্যাপারী সেজে ঘুরে ফিরি ঘর-গেরস্থলি
জানি না তার রহস্য ধ্বনি
অলস পৃথিবীর পাতায় ও পেরেকে রক্তকণার ঘ্রাণ
ক্ষুরে ক্ষুরে চলে গেছি বহুদূর
ভ্রূণ নাশের শব্দ, মৃত হাসপাতাল
ডাকপিয়নের ভাঙাচোরা সাইকেল,
অরূপের এস.টি.ডি বুথ
বটের শিকড় আঁকড়ে ধরছে পা
সাপের ফণার মতো গলা তুলে দাঁড়ায় মনখারাপ
উজ্জীবিত চারণভূমে এভাবেই হেঁটে যান কবিকঙ্কণ…
না ছোঁয়া পাখির পালক
ম্যাজিক নির্ভর এক আদিগন্ত সত্য
মুদ্রিত কবিতার পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছি
সে হঠাৎ গান গেয়ে ওঠে,
পরিব্রাজকের নাম ধরে ডাকে–
মেগাস্থিনিস,ফা-হিয়েন,হিউয়েন- সাঙ
আমার শরীর দিয়ে হেঁটে যায় কারা?
কারা বেপথু পিক্সেলে চোখ রাখে
সে কি দিন ফুরনো ব্যাধদল!
ভাবি বাবার হ্যালুসিনেশন,
চা-পানের ডাক আসে,অন্ধকার আবর্তে
চারপাশে থেকে গড়িয়ে নামছে
আজানের চিকন আলো
উঠে বসি প্রলুব্ধ সন্ধ্যার এই মায়াবী টিলায়।
Comments :0