মাকালু জয় করে ফেরার পথে মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রায় ২২ ঘন্টা তুষার ঝড়ে আটকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আজই চন্দননগরের বাড়িতে ফিরল চন্দননগরের পাহারী কন্যা পিয়ালি বসাক। আগামী দিনে আর যে সব আট হাজারই শৃঙ্গ রয়েছে সেগুলো জয় করতে চায় পিয়ালি।

১৭ই মে সামিট করে ফেরার পথে তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়েন পিয়ালি। পঁচাত্তর ডিগ্রি ঢালের মধ্যে জুতোয় লাগানো ক্রাম্পনের ওপর ভড় করে প্রায় ২২ ঘন্টা থাকার পরে এক রাশিয়ান পর্বতারোহী ও তার শেরপা পিয়ালিকে দেখতে পায়। তারা স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করেন কাঠমান্ডুতে। তার পর শেরপা রা এসে কোনভাবে পিয়ালিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ক্যাম্প থ্রি তে। তার আগেই তুষার ঝড়ে স্নো ব্লাইন্ডনেস হবার কারনে চোখে দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেই অবস্থায় কোন ভাবে ধরে ধরে ক্যাম্প থ্রি তে নামান হয়। সেখান থেকে বেস ক্যাম্পে নামানো হয় পিয়ালিকে।  বেসক্যাম্প থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় নেপালে লুকলা তে। সেখানে হাসপাতালে বেশ কদিন ভর্তি ছিলেন। দুপায়ের চারটে আঙুল ফ্রস্ট বাইটের কারনে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেরে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তাতেও দমান যাচ্ছে না পিয়ালিকে। একটু সুস্থ হয়েই আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা,চো ইউ, সিসা পাংমা সহ আরো আট হাজারের বেশি পিক গুলোর লক্ষে পাড়ি দেবেন পিয়ালি।
বাড়ি ফিরতেই প্রতিবেশীরা উপস্থিত হয় পিয়ালির বাড়িতে।তারা ফুলের মালা পড়িয়ে অভ্যর্থনা জানায় পিয়ালিকে।এর আগে অন্নপূর্ণা জয় করে মাকালু অভিযান না করেই ফিরে এসেছিল বাবার অসুস্থতার কারণে। আজ তাই বাড়ি ফিরে আগেই বাবার কাছে ছুটে যায় পিয়ালি।