Modi special session

বেকারি, দামের বোঝা এড়িয়ে ভাষণ মোদীর

জাতীয়

মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ ভবনে শুরু হবে অধিবেশন। তার আগে সোমবার পুরোন সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশনে নিজের দীর্ঘ বক্তৃতায় একপ্রকার নিজেরই পিঠ চাপড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে দেশের বেকারত্ব থেকে শুরু করে কৃষকদের যেই সমস্যা, মূল্যবৃদ্ধির সহ একাধিক বিষয় নিয়ে স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে নীরব থাকলেন প্রধানমন্ত্রী।
সাধারণত রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে শুরু হয় সংসদের অধিবেশন কিন্তু এবার সংসদের অধিবেশন শুরু হল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিয়ে আর সেই ভাষণেই নরেন্দ্র মোদী একপ্রকার আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী সভার বক্তৃতার ঢংএ বক্তৃতা করে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ বক্তৃতায় জি ২০, জিএসটি, ৩৭০ ধারা লাগু থেকে শুরু করে তার সরকারের আমলে হওয়া একের পর এক কাজের প্রশংসা করে গেলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে এই বিশেষ অধিবেশন। কিন্তু এই বিশেষ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত পাঁচটি বিল এই অধিবেশনে পাশ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। 
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ৩৭০ লাগু এবং জিএসটির মতো আইন পাশ করা কি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন "গর্বের সাথে আমরা বলতে পারি যে এই সংসদ ভবনের দাঁড়িয়ে ৩৭০ ধারা আমরা লাগু করেছি এবং জিএসটির মতো আইন প্রয়োগ করা হয়েছে গোটা দেশে।"
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, "পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানানো আমাদের সবার কাছে এক আবেগঘন মুহূর্ত। দীর্ঘদিন আমরা পরিবার তন্ত্রের সাক্ষী থেকেছি।" প্রধানমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন তখন বিজেপি সাংসদদের টেবিল চাপড়াতে দেখা যায়। 
উল্লেখ্য যে জিএসটি ৩৭০ ধারা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে দীর্ঘ বক্তৃতা রাখলেন তার ফলে সাধারণ মানুষের কি উপকার হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করলেন না। জিএসটির ফলে দেশের ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে। ৩৭০ ধারা লাগু হওয়ার পরেও কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে এমন কথাও দাবি করতে পারেনা বিজেপি সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment