ADANI RAHUL LOK SABHA

মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক কী, আদানিকাণ্ডে সংসদে রাহুল

জাতীয়

ADANI RAHUL LOK SABHA

২০১৪’তে ছিলেন ৬০৯ নম্বরে। ২০২২-এ উঠে এলেন বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিন নম্বরে। সব ব্যবসায় তিনি। সব ব্যবসায় সফল। সাফল্যের রহস্য জানতে চাইছে দেশ। জানতে চাইছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গৌতম আদানির সম্পর্ক কী। 

মঙ্গলবার লোকসভায় এই মর্মেই আদানিকাণ্ড নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিজেপি সাংসদদের বাধার মুখে বারবারই পড়তে হয়েছে তাঁকে। 

রাহুল বলেছেন, ‘‘ভারতের বিদেশ নীতি আজ আদানির বিদেশ নীতিতে পরিণত হয়েছে।’’ মঙ্গলবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক আলোচনার সময় আদানি প্রসঙ্গ তুলেছেন রাহুল গান্ধী।

রাহুল বলেন, ‘‘ভারতে এখন শুধু একটা কথাই শোনা যাচ্ছে তা হচ্ছে আদানি আর আদানি। আদানির সব রকম ব্যাবসা রয়েছে। আর প্রতিটাতে তিনি সফল। স্টার্ট আপ যাঁরা খুলছেন, এই সাফল্যের রহস্য তাঁদের জানানো দরকার।’’ 

ব্যঙ্গের সুরেই একচেটিয়ে দখলদার প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘কাশ্মীর বা হিমাচলে আপেলের ব্যবসা, সেখানে আদানি। আবার রাস্তা দিয়ে চলছেন, সেখানেও আদানি। এই সাফল্য কিভাবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী?’ নরেন্দ্র মোদী এবং আদানির ছবিও দেখাতে থাকেন রাহুল। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বারণ করেন।  

নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানির সুসম্পর্কের কথা নতুন নয়। গুজরাট দাঙ্গার পর গোটা শিল্পপতি মহল মোদীর বিরুদ্ধে চলে যায় তখন আদানি তাঁর পাশে থাকে। আদানির বুদ্ধিতেই শুরু হয় ভাইব্রেন্ট গুজরাট। আর সেই সময় থেকেই বন্ধু মোদীর হাত ধরে গুজরাট জুড়ে নিজের ব্যবসার জাল ছড়াতে শুরু করে আদানি।

লোকসভায় রাহুল বলেন, ‘‘২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন বিশ্বের ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় আদানি ছিল ৬০৯ নম্বরে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে এক জাদু বলে তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন।’’ 

হঠাৎ করে আদানির উত্থান। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল বলেন নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার আদানির উত্থানের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

রাহুল অভিযোগ করেন, ‘‘ভারতের বিমানবন্দর গুলো উন্নয়নের নাম করে আদানি গোষ্ঠির হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আদানি যাতে বিমানবন্দর গুলির বরাত পায় তার জন্য আইন বদল করেছে কেন্দ্র।’’ 

রাহুল বলেছেনআইন অনুযায়ী যাদের বিমানবন্দর সংক্রান্ত কোন অভিজ্ঞতা নেই তারা কোন ভাবে এই বরাত পাবে না। কিন্তু সেই আইন  বদল করে কেন্দ্র। আর যার জন্য দেশের ছটি বিমানবন্দর যায় আদানির হাতে। যার মধ্যে অন্যতম মুম্বাই বিমানবন্দর।

কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘মুম্বাই বিমানবন্দর আদানির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জিভিকে গোষ্ঠীর থেকে ইডি সিবিআই ব্যবহার করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’ 

রাহুল গান্ধী যখন একের পর এক অভিযোগ সংসদে তুলছেন তখন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদের অভ্যন্তরের হই হট্টগোল শুরু করেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু রাহুলকে বলেন, ‘‘অভিযোগ করলে হবে না। প্রমাণ দিতে হবে তার সপক্ষে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের উত্তরে রাহুল বলেন, ‘‘সব কিছুর প্রমাণ রয়েছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment