ANUBRATA BAIL SC

অনুব্রতের জামিনের আবেদন সিবিআই’র বক্তব্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট

জাতীয় রাজ্য

ANUBRATA BAIL SC

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের জামিনের আবেদনে সিবিআই’কে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গরু পাচার দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূলের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। 

সোমবার বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ চোদ্দ দিনের মধ্যে বক্তব্য জানাতে বলেছে সিবিআই’কে। মণ্ডলের হয়ে সওয়াল করেছেন বরিষ্ঠ আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তাঁর যুক্তি, এই মামলায় পাঁচটি চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই বাইরে। কেবল অনুব্রত মণ্ডল জেলে রয়েছেন। 

অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনে বলা হয়েছে যে ১৪ মাস ধরে তিনি জেলে। প্রধান অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তা’হলে তাঁকে জেলে রাখা হবে কেন। 

এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ হয়। তখনও এই তৃণমূল নেতার পক্ষে যুক্তি ছিল যে ১৪৫ দিন ধরে তিনি জেলে। জামিনের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট বলেছিল, কী করে অভিযুক্ত বিপুল সম্পদের মালিক হলেন তা এখনও বের হয়নি। তদন্ত চলছে। তদন্তের মাঝে তাঁকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সাক্ষীদের ওপর চাপ বাড়তে পারে। তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় গুরুতর বাধা আসতে পারে। 

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, অভিযুক্ত প্রভাবশালী। সরকারে আসীন দলের গুরুত্বপূর্ন নেতাও। কেবল নিজের এলাকায় লোকজনের ওপর তাঁর প্রভাব সীমাবদ্ধ নেই, প্রশাসনেও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। 

সিবিআই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছে, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত এনামুল হককে মদত জুগিয়ে গিয়েছেন অনুব্রতই। তিনিই গরু পাচারের নিরাপদ রাস্তার ব্যবস্থা করেছেন। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ থেকে গরু আন্তর্জাতিক সীমান্তে গিয়েছে। 

অনুব্রত মন্ডলের হয়ে মামলা লড়েছেন আরও এক বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেছেন, গরু পাচার মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত এনামুল হক এবং বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার। অনুব্রতকে এই দু’জনেই জামিনে মুক্ত ছিলেন।  

সেই অনুব্রত মণ্ডলের এই পরিমাণ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী, তার ব্যাখ্যা তৃণমূল নেতার কাছে নেই। সিবিআই এবং ইডি মিলিয়ে মোট ২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার হিসেব মিলেছিল গত মে’তে। বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টে লেনদেন বন্ধ করা বা ‘ফ্রিজ’ হয়েছে। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। 

তদন্ত না এগনোয় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইডি এবং সিবিআই। পাচারের অর্থ অনুব্রতের হাত ঘুরে দলের শীর্ষ স্তরে আসত, এমন অভিযোগ বারবার উঠেছে। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং সিবিআই’র বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া অনুযায়ী চলার অভিযোগও যথেষ্ট মাত্রায় রয়েছে। অনুব্রত জামিনের আবেদন জানানোয় তদন্তের গতিপ্রকৃতি ঘিরে প্রশ্ন আরও বাড়বে বলে মত বিভিন্ন অংশের।

Comments :0

Login to leave a comment