তপন বিশ্বাস- ইসলামপুর
উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসকের উদাসীনতার কারণে জেলার কোন বিদ্যালয় সুব্রত কাপের অংশ নিতে পারল না বলে অভিযোগ। জেলার শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, গত এক বছর থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় কোন স্পোর্টসের কমিটি নেই। সেই কারণে গত বছর শীতকালীন গত বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়নি উত্তর দিনাজপুর জেলায় এবং চলতি মরশুমে অন্য জেলা সুব্রত কাপের খেলা নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত সেই সময় জেলার বিদ্যালয়গুলি খেলার সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে বসে রয়েছে। সুব্রত কাপে ব্লক স্তর থেকে ছাত্র এবং ছাত্রী উভয় বিভাগে ফুটবল প্রতিযোগিতার সেরা দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। জেলা চ্যাম্পিয়ন দল রাজ্যস্তরে অংশ নেয়। চলতি বছরে ইসলামপুর মহকুমার সেন্ট ইগ্নাশিয়াস হাই স্কুল, নন্দঝার তপশিলি আদিবাসী হাই স্কুল, ইসলামপুর হাই স্কুল,ডালখোলা হাই স্কুল,করণদিঘি হাই স্কুল, চোপড়া হাই স্কুল সহ জেলার প্রচুর দল সুব্রত কাপে অংশ নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে অনুশীলন করে আসছে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় হতাশ জেলার বিদ্যালয়গুলি।
এ বিষয়ে তৃণমূল শিক্ষাসেলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি প্রসূন দত্ত বলেন , শিক্ষক বা শিক্ষক সংগঠক হিসেবে এই ব্যর্থতা অস্বীকার করা যায় না। আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার জেলাশাসককে জানানোরর পরেও তিনি রীতিমতো উদাসীন থেকে গেছেন এ বিষয়ে। এ বছর সুব্রত কাপে আমাদের জেলা থেকে কোন দল অংশগ্রহণ করতে পারল না। তার যেমন দেয় অস্বীকার করতে পারি না ,ঠিক তেমনি জেলা শাসকের কারণেই সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটছে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, গত বছর শীতকালীন প্রতিযোগিতা হয়নি এই একই কারণে। আমরা দেখেছি আমাদের অনেক প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ক্রীড়া জগতে নৈপুণ্য দেখিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে আমাদের জেলা ফুটবল প্রতিযোগিতায় ও শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় একদিকে যেমন আমরা হতাশ। অপরদিকে ছাত্র-ছাত্রীরা হীনমন্যতায় ভুগছে তার দায়ভার কে নেবে বলে তিনি প্রশ্ন তুলেন।
অপরদিকে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র অভিযোগ করে বলেন, জেলাশাসক ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দড়ি টানাটানির কারণে আজকে আমাদের জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা বঞ্চিত হলো ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া নৈপুণ্য বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেন এই অধিকর্তা। ফলে এই একটি বছর জেলার বিদ্যালয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে কালো অধ্যায় বলে বিবেচিত হবে তার রূপকার খোদ জেলা শাসক। এ বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে পরিদর্শক মাধ্যমিক দুলাল সরকারকে ফোন করা হলে তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোন কেটে দেন। অপরদিকে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেন নি।
Comments :0