Mamata Banarjee

কর্মসংস্থান নয়, মন্দিরের জন্য কত খরচ খতিয়ান দিলেন মমতা

রাজ্য

কয়েক মাস পর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নতুন কোন কর্মসংস্থানের উদ্বোধন নয়। নিউ টাউনে দূর্গাঙ্গনের শীলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চলছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি। সোমবারের শীলান্যাস অনুষ্ঠানে কোন মন্দিরের জন্য সরকার কত টাকা খরচ করেছে তার খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় দূর্গাঙ্গনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দোকান, হোটেল হবে। তিনি বোঝাতে চাইলেন দোকান হওয়াই কর্মসংস্থান। তিনি বলেন, দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক থেকে কালীঘাটের স্কাইওয়াক সহ বিভিন্ন মন্দির সংস্কারের জন্য টাকা দিয়েছে তার সরকার। 
মমতা বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম দুর্গা অঙ্গন হবে। এখানে প্রতি দিন এক লক্ষ ভক্ত আসতে পারবেন। আমরা তার ব্যবস্থা করছি।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দু’লক্ষ বর্গফুট এলাকায় তৈরি হবে এই দুর্গা অঙ্গন। মন্দিরের উঠোনেই এক লক্ষ লোক বসে থাকতে পারবেন। চারপাশে ২০ ফুট চওড়া ঘোড়ার পথ করা হচ্ছে। ১, ০০৮টি স্তম্ভ হচ্ছে। মূল গর্ভগৃহের উচ্চতা হবে ৫৪ মিটার। মূল মণ্ডপ ছাড়াও সিংহদূয়ার, ও অন্য মণ্ডপও থাকবে। 
রাজারহাটে এই দুর্গাঙ্গন তৈরি হবে প্রায় ২৬২ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। গোটাটা যাবে সরকারি কোষাগার থেকে। রাজ্যের আট হাজারের বেশি স্কুল যখন বন্ধ হওয়ার মুখে। বেকারির হার যখন প্রতিদিন বাড়ছে তখন এই বিপুল খরচ কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 
শিলিগুড়িতে শিব মন্দির তৈরি করার জন্য বিনা পয়সায় জমি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা। জমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলেও জানা গিয়েছে। 
সামনে বিধানসভা নির্বাচন। বেকারি, তোলাবাজি, দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ সেখানকার মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে জব কার্ড, ১০০ দিনের কাজের দাবি সহ মানুষের দাবি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষ যখন বিজেপি তৃণমূলের বাইনারি থেকে সরে আসছে তখন নতুন করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মন্দিরের রাজনীতি শুরু করেছেন মমতা ব্যানার্জি।

Comments :0

Login to leave a comment