সোমবার থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় শুরু হলো স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) সংক্রান্ত শুনানি। শীত উপেক্ষা করেই কোমর ভাঙা, ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটা কিংবা সত্তরোর্ধ্ব বয়সের অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দিনভর অপেক্ষা করতে হয়েছে খোলা আকাশের নীচে। শীতের কামড়ে কাঁপতে কাঁপতেই শুনানির ডাকের অপেক্ষায় ছিলেন শত শত মানুষ।
জেলা জুড়ে মোট ২৪টি শুনানি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসডিও ও বিডিও অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এই কেন্দ্রগুলি স্থাপন করা হয়। তবে অধিকাংশ কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত বসার জায়গা বা শীত থেকে বাঁচার ব্যবস্থার অভাব ছিল বলে অভিযোগ। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে শুনানিতে ডাকা মানুষদের। জলপাইগুড়ি বিডিও অফিসে সদর বিধানসভার ভোটারদের শুনানি কাজ চলছে। সেখানে আসা মানুষদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে সহায়তা শিবির খোলা হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সদর-পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবরাজ বর্মন, পার্টি নেতা বিপুল সান্যাল, কল্যাণী সরকার, মৃণাল রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৩২ জন। এর মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ ভোটারকে নন-ম্যাপিং, নামের বানান ভুল, বাবা-মায়ের নথির গরমিল সহ বিভিন্ন কারণে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। ভোটারদের অভিযোগ, তাঁদের অনেকের নাম ২০০২ সালের আগেও এবং পরেও ভোটার তালিকায় ছিল, অথচ বর্তমানে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম না পাওয়ায় তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।
শুনানিতে আসা অধিকাংশ ভোটারই অভিযোগ করছেন, বিনা কারণে নির্বাচন কমিশন তাঁদের হয়রানি করছে। কারও ভোটার ম্যাপিং হয়নি, কারও নামের বানানে সামান্য ভুল, আবার কারও পারিবারিক নথিতে সামান্য অমিল—এইসব কারণেই বাধ্য হয়ে শীত উপেক্ষা করে শুনানিতে ছুটে আসতে হয়েছে বলে অভিযোগ। নাম বাদ পড়ে গেলে কী হবে, সেই আশঙ্কায় আতঙ্কিত অনেকেই।
Comments :0