Haldwani Case Supereme Court

‘৫০ হাজার মানুষকে রাতারাতি উচ্ছেদ করা যায় না’

জাতীয়

Haldwani Case Supereme Court

হলদোয়ানির প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে আপাতত স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্টের রায়। হাইকোর্টের উচ্ছেদের নির্দেশ এখনই কার্যকর না করতে বলল শীর্ষ আদালত। 

রেলের দায়ের করা মামলায় প্রায় ৪ হাজার বাড়ির বাসিন্দাদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ডিসেম্বরের শেষে রেল নোটিস পাঠায় সব পরিবারকে। সাত দিনের মধ্যে বাড়ি ফাঁকা করার নির্দেশ দেয় রেল। প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিলে ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা। শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় আবেদন। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানিতেই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কল এবং এসকে ওকার বেঞ্চ বলেছে, ‘‘রাতারাতি ৫০ হাজার মানুষকে ঘর ছাড়তে বলা যায় না। বিষয়টির সঙ্গে মানবিকতার প্রশ্ন জড়িত। কোনও একটি সমাধান খুঁজে বের করতেই হবে।’’

গত কয়েকদিন গোটা শহরই যেন নেমে পড়ছিল রাস্তায়। হাইকোর্টের রায়ে উচ্ছেদের মুখে পড়েন হলদোয়ানি স্টেশন লাগোয়া বনভোলপুরার প্রায় গোটা একটি অঞ্চল।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জমি রেলের। রাজ্যের বিজেপি সরকারের তরফে কোনও পুনর্বাসনের ঘোষণা নেই। হাইকোর্ট ২০ ডিসেম্বর রায় দিতেই ৩০ ডিসেম্বর নোটিস জারি করে রেল। রাজ্য প্রশাসনও নোটিস পাঠায়। রেলের ইজ্জতনগর ডিভিশনাল ম্যানেজারের সই করা নির্দেশে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে অন্যত্র সরে যেতে হবে বাসিন্দাদের। রেল নিজের কাজ শুরু করবে এই এলাকায়।

হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে প্রায় রোজ নামছে মিছিল। শ্রমজীবী এলাকা বনভুলপুরা। বাসিন্দাদের বেশিরভাগ মুসলিমও। স্থানীয় বহু অংশ বলছেন, উচ্ছেদের নোটিসের পিছনে জনবিন্যাস হিসেবে রাখা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে প্রবল ঠাণ্ডায় মধ্যে ৫০ হাজার মানুষকে বেঘর করার পরিকল্পনা হয়েছে হিসেব কষে।

স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের সুমিত হৃদয়েশ মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকা নাজুল। মানে সরকারি অ-কৃষি জমি যা নাগরিকদের বিলি করা যায়। আরও বক্তব্য, ২৯ একর জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে রেলের সঙ্গে বাসিন্দাদের। কিন্তু পুরো ৭৮ একর থেকেই বাসিন্দাদের হঠাতে নোটিস দিয়েছে রেল। বাসিন্দাদের দাবি, অনেকেরই হাতে রয়েছে বৈধ কাগজপত্র। হাইকোর্ট তা বিবেচনাতেই আনেনি। 

বনভুলপুরার গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি, ইন্দিরা নগরের এই বিরাট এলাকায় রয়েছে ৪টি সরকারি স্কুল, ১১টি বেসরকারি স্কুল। রয়েছে ব্যাঙ্কের শাখা, ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক। 

মামলার পরের শুনানি হবে ফেব্রুয়ারিতে। বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বৃহস্পতিবার বলেছেন আদালতের নির্দেশ মেনে চলা হবে। 

 

হাইকোর্ট প্রয়োজনে বাহিনী ব্যবহার করে জায়গা খালি করার পরামর্শ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এমন ‘পরামর্শ’ খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে এই এলাকায় বসতি তৈরি হয়েছে। ঘর খালি করার জন্য সুরক্ষা বাহিনীকে নামানোর চিন্তা সঠিক নয়।

 

Comments :0

Login to leave a comment