টোল প্লাজায় গাড়ি থামানোর টপারে ধাক্কা দিয়েছিল গাড়ি। টোলের কর্মী উজ্জ্বল সিংহ সর্দার তাড়াতাড়ি গাড়ির নিচ থেকে সরাতে যান টপার। আটকে যায় গাড়ি। টপার সরানোর পরই পিছনের দরজা খুলে নামলেন এক সওয়ার। সোজা ধাক্কা উজ্জ্বলকে।
পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে মেমারির পালসিট টোল প্লাজার এই কর্মী জেনেছেন তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার পর মারতে উদ্যত হয়েছিলেন যিনি, সেই সুনীল মণ্ডল এলাকার সাংসদ।
পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদের কুকীর্তির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে সুনীল দাবি করেন যে মারতে যাননি। গলা ধরে আদর করতে গিয়েছিলেন। তিনি নাকি টোলকর্মী উজ্জ্বলকে বলতে গিয়েছিলেন যে ‘এলাকার সাংসদকে চিনিস না?’
উজ্জ্বলের বয়ানে যদিও বোঝা যাচ্ছে সাংসদ মোটেই এমন মিষ্টিভাষী ছিলেন না। তিনি বলছেন, ‘‘টপার গাড়ির ভিতর ঢুকে যায়। গাড়িটি থামেনি। আমি গাড়ি থামিয়ে পিছিয়ে নিতে বলি, যাতে সেটা বের করা যায়। ফুটপাতে উঠতেই দেখি পাজামা পাঞ্জাবি পরা একজন লোক গাড়ির পিছনের দরকা খুলে বেরিয়ে এল। আমাকে ধাক্কা দিতে থাকে, বলতে থাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেব।’’
সব ঘটনা বেরিয়ে পড়ায় তৃণমূল সাংসদ বলেছেন যে ভুল হয়ে গিয়েছে। তাঁর যাওয়ার তাড়া ছিল। কিন্তু ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় নিন্দা করছেন বহুজনই। অনেকেই বলেছেন, একজন সাংসদ এমন আচরণ করলে দলের কর্মীদের বেপরোয়া মনোভাবকেই মদত জোগানো হয়।
কিছুদিন আগে কলকাতায় তৃণমূলের আরেক জনপ্রতিনিধিকে দেখা গিয়েছিল চড় মারতে। মেয়র পারিষদ তারক সিং চড় মারেন একটি ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা কর্মীকে। ডেঙ্গুর সময়ে রাস্তায় জল জমার দায় ওই কর্মীর ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। জানা যাচ্ছে গত বছর জমা জলে ডেঙ্গুর লার্ভা মেলায় কর্পোরেশনের নোটিশ গিয়েছিল তারক সিংয়ের বাড়ির ঠিকানায়।
Comments :0