UTTARKASHI RESCUE

উত্তরকাশীর উদ্ধারে মিডিয়াকে নির্দেশিকা, চলছে ওপর থেকে গর্ত খোঁড়ার তোড়জোর

জাতীয়

মঙ্গলবার ভিডিও ক্যামেরায় সুড়ঙ্গে ভেতরে শ্রমিকদের ছবি।

সংবাদ চ্যানেলের প্রতিবেদনে সমস্যা হতে পারে উদ্ধারকাজে। শিরোনামে অতি সংবেদনশীলতা আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষে সহনীয় না-ও হতে পারে। এই যুক্তিতে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের উদ্ধারকাজ সম্প্রচারে সতর্ক থাকার ‘পরামর্শ’ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।

 বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে সুড়ঙ্গমুখের ছবি বারবার দেখানো হলে উদ্ধারের কাজে সমস্যা হতে পারে।

মঙ্গলবার সকালে নতুন পাইপে ক্যামেরা বসিয়ে পাঠানো হয় সুড়ঙ্গের ভেতর। আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে এক এক করে ক্যামেরার সামনে আসতে বলা হয় ওয়াকিটকিতে। হলুদ-সাদা হেলমেট পরে শ্রমিকরা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানও। পরিবারের কাছে যদি কিছুটা স্বস্তি পৌঁছে দেয় এই ভিডিও। ধসের ওপারে, সুড়ঙ্গের মুখ থেকে তাঁদের সহকর্মীরা বার্তা দেন, ‘‘অপেক্ষা কর, তাড়াতাড়িই পৌঁছাবো তোমাদের কাছে।’’ 

সুড়ঙ্গ খনন বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স রয়েছেন উদ্ধারের কাজে। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘শ্রমিকদের ভিডিও পাওয়া, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারা সুখবর। একাধিক পরিকল্পনা হাতে রেখে উদ্ধারের কাজে এগনো হচ্ছে।’’

উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, কারিগরি দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুড়ঙ্গের ওপর থেকে পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে গর্ত খুঁড়ে পাইপ নামানোর জন্য দু’টি জায়গা ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু এই কাজ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে হয়। ফলে ড্রিলিং মেশিন বসিয়ে কাজ শুরু করার আগের প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে পেরনো দরকার। মঙ্গলবার নতুন ড্রিলিং মেশিন আনাও হয়েছে বলে জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

সিল্কিওয়াড়া টানেলের সামনেই রয়েছেন এনএইচআইডিসিএল’র ডিরেক্টর অংশু খালকো। তিনি জানিয়েছেন, ধস খুঁড়ে মাটির সঙ্গে সমান্তরাল পাইপ বসানোর কাজও চলবে।

তবে হিমালয়ের ভঙ্গুর ভূ-প্রকৃতি এবং উচ্চতার কারণে উদ্ধারকাজ সাবধানে চালাতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কারিগরি বিশেষজ্ঞরা। ১২ নভেম্বর, রবিবার, ভোরে ধস নেমেছিল কেন্দ্রের চারধাম প্রকল্পের এই নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে। তারপর থেকে দু’বার বন্ধ করতে হয়েছে বের করে আনার জন্য পাইপ ঢোকানোর কাজ। বিকল্প তৈরি করতে দেরি হয়। ফলে একেকটি যন্ত্র খারাপ হওয়ার পর থমকে যায় কাজ। বহুমুখী তৎপরতা শুরু হয়েছে কার্যত সাত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর। 

সোমবার শ্রমিকদের গরম খিচুড়ি পাইপে পাঠানো গিয়েছিল। তার আগে সরু পাইপে শুকনো খাবার, পানীয় জল পাঠানো হয়। দেওয়া হয় অক্সিজেন। কিন্তু বারবার উদ্ধারের কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে পরিজনদের। ক্ষোভ রয়েছে দেশে উদ্বিগ্ন বহু অংশেরও।     

Comments :0

Login to leave a comment