YECHURY JIND

জনহিতের লক্ষ্যেই হারাতে হবে বিজেপি-কে: ইয়েচুরি

জাতীয়

হরিয়ানার জিন্দে সিপিআই(এম) এবং সিপিআই’র ডাকে জনসভায় সীতারাম ইয়েচুরি।

আমাদের লক্ষ্য সরকার বদলানো, জনহিতের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। যে সরকার দেশের একতা অখণ্ডতাকে বাঁচাতে পারে, দেশের সংবিধানকে বাঁচাতে পারে। সেই কারণেই বিজেপি’কে হারাতে আগ্রহী দলগুলিকে নিয়ে  তৈরি ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে রয়েছে বামপন্থীরা। লোকসভা ভোটে বিজেপি সরকারকে হারাতে লড়াই চলছে।
শনিবার হরিয়ানার জিন্দে জনসভায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। জিন্দে সিপিআই(এম) এবং সিপিআই’র ডাকে হয়েছে ‘বদলাও সন্দেশ যাত্রা’। ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘বদল বলতে নেতার মুখ বদলানোর কথা বলছে না বামপন্থীরা। বলছে নীতির বদল। জনবিরোধী, অসহিষ্ণু, কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী ধাঁচের শক্তি পরিচালিত সরকারের বদল। জনহিতের লক্ষ্যেই হারাতে হবে বিজেপি-কে।’’ 
এই জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কৌরও। চোখে পড়ার মতো জনসমাগম হয় সমাবেশে। বড় সংখ্যায় অংশ নেন মহিলারা। তাঁদের অনেকেই সংগ্রামরত ‘আশা’ ও অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের কর্মী। 
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘দলবদল করে ক্ষমতা দখল করে যে সরকার সে জনতার স্বার্থে কাজ করে না। আজকের বিজেপি তো অন্য দল ভাঙিয়ে তৈরি। রজনীতির জন্য কেবল সওদা হবে? ধান্দা হবে? তা’হলে দেশকে বরবাদ করা হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বড় দায়িত্ব আজ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কেমন দেশ হাজির করব আমরা  তা ঠিক করতে হবে। দেশের ৪২ শতাংশ স্নাতক বেরোজগার। কোটি কোটি কর্মহীন যুবক যুবতী। তাদের ভুল পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তারা যখন ভুল পথে যাচ্ছে তখন তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা রক্ষার নামে। তাদের শোষণ করা হচ্ছে। শোষণ করা হচ্ছে দলিতদের। শোষণ করা হচ্ছে মহিলাদের। শোষ করা হচ্ছে মেহনতি সব অংশকে। শোষণের নতুন কায়দা তৈরি করেছে বিজেপি, ‘বুলডোজার পলিটিক্স’। যে বিরোধিতার আওয়াজ তুলবে তারই ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সারা জীবন আদালত আর মোকদ্দমার পিছনে দৌড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘জেলে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। প্রতিবাদীদের। ইউএপিএ’তে যাদের বন্দি করা হচ্ছে আদালতে তাদের বিচার শেষ করে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। সব ক্ষেত্রে কেবল বছরের পর বছর আদালতে চক্কর কাটতে হচ্ছে। দশ বছর পর হুইলচেয়ারে চলতে হয় অধ্যাপক সাইবাবাকে মুক্ত করেছে আদালত। দশ বছর তাঁকে বন্দি করে রাখ হলো। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠছে। ’’
ইয়েচুরির আহ্বান, ‘‘এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে আমাদের।’’ তিনি বলেন, ‘‘সে কারণেই ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ গড়া হয়েছে। আসনের আলোচনা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির বোঝাপড়া হয়েছে। হরিয়ানায় কংগ্রেস এবং ‘আপ’-র সমঝোতা হয়েছে। বিহারে আলোচনা চলছে। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হয়ে গিয়েছে প্রায়।’’ 
উল্লেখ্য, এদিনই তামিলনাডুতে কংগ্রেসের সঙ্গে ডিএমকে’র আসন বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়েছে। লোকসভার ৯টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়েছে ডিএমকে। ফেব্রুয়ারির শেষেই সিপিআই(এম) এবং সিপিআই’কে ২টি করে আসন ছেড়েছে ডিএমকে। ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘বামপন্থীরা এই বোঝাপড়ায় অংশ নিয়েছে দেশকে বাঁচানোর লক্ষ্যে।’’

Comments :0

Login to leave a comment